প্রত্যেক মানুষই চায় জীবন সহজ এবং সুখী হোক কোনও আর্থিক বোঝা ছাড়াই, কিন্তু কখনও কখনও পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে ঋণ নেওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। কেউ স্বেচ্ছায় ঋণ নিতে চায় না, কিন্তু যখন জীবনে বাধা আসে, যখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়, অথবা হঠাৎ করে কোনও বিপর্যয় দেখা দেয়, তখনই ঋণ নিতেই হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই সমস্ত কিছুই কেবল ভাগ্য বা পরিস্থিতির ফলাফল নয়, বরং গ্রহগুলির গতিবিধির প্রভাবও হতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে, মঙ্গলকে ঋণের প্রধান কারক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যখন মঙ্গল জন্মকুণ্ডলীতে দুর্বল হয়ে পড়ে অথবা শনি, রাহু বা কেতুর মতো অশুভ গ্রহের সঙ্গে মিলিত হয়, তখন এটি ব্যক্তির জীবনে আর্থিক সংকট সৃষ্টি করে। এছাড়াও, যখন রাশিফলের চন্দ্র ও বুধের অবস্থান দুর্বল থাকে, তখন ব্যক্তিকে ঋণ নিতে হয় অথবা তাঁর জন্য ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই গ্রহগুলির নেতিবাচক অবস্থান কেবল ঋণের কারণই নয়, বরং তা পরিশোধে বাধাও সৃষ্টি করে।
জ্যোতিষশাস্ত্রীয় এই প্রতিকার ঋণমুক্তির দরজা খুলে দিতে পারে
যদি আপনিও ঋণের কারণে কষ্ট পান এবং সব দিক থেকে হতাশ হন, তাহলে আতঙ্কিত হবেন না। জ্যোতিষশাস্ত্র কিছু সুনির্দিষ্ট সমাধান বলে, যা গ্রহণ করে আপনি ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন:
- বজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ নিন: মঙ্গলবার এবং শনিবার বজরঙ্গবলীকে জুঁই তেল এবং সিঁদুর অর্পণ করুন এবং আপনার কপালে তিলক হিসাবে একই সিঁদুর লাগান। এর পাশাপাশি নিয়মিত 'বজরং বাণ' আবৃত্তি শুরু করুন। এটি নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং মানসিক শক্তি প্রদান করে।
- প্রদোষ উপবাস রাখুন: ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য 'ঋণমোচন প্রদোষ ব্রত' এবং 'ভৌম প্রদোষ ব্রত' বিশেষভাবে কার্যকর বলে বিবেচিত হয়। এই উপবাসগুলি গ্রহগুলির অবস্থান উন্নত করে।
- বুধবারের জন্য বিশেষ প্রতিকার: বুধবার, ২৫০ গ্রাম ছোলা সিদ্ধ করে তাতে ঘি এবং চিনি মিশিয়ে একটি বাদামী রঙের গরুকে খাওয়ান। এটি বুধ গ্রহকে শান্ত করে, যা ঋণের অন্যতম কারণ হতে পারে।
- মন্ত্রটি জপ করুন: প্রতিদিন ১০৮ বার 'ওম রণহর্তায়ে নমঃ' এবং 'ওম মঙ্গলমূর্তয়ে নমঃ' জপ করুন। এটি মানসিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আপনার চারপাশে ইতিবাচক শক্তি তৈরি করে।
- বজরঙ্গবলীকে বিশেষ পুরী নিবেদন করুন: ১.২৫ কেজি ময়দা, ১.২৫ কেজি গুড় এবং দুধ মিশিয়ে পুরী তৈরি করুন এবং মঙ্গলবার হনুমানজিকে নিবেদন করুন এবং তারপর দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করুন। এই পুণ্যকর্ম নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং আর্থিক পথকে সহজ করে তোলে।
- লাল মসুর ডাল দান করুন: একজন তরুণ ব্রাহ্মণকে লাল মসুর ডাল দান করুন এবং আপনিও খেতে থাকুন। এরও ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে।
- শঙ্খপুষ্পি আপনার নিরাপদ স্থানে রাখুন: গুরু পুষ্য নক্ষত্রের দিন, শঙ্খপুষ্পির মূল গঙ্গা জল দিয়ে পবিত্র করুন এবং চালের সঙ্গে একটি রুপোর বাক্সে রাখুন। হলুদ মাখিয়ে আলমারি বা সিন্দুকের মধ্যেও রাখতে পারেন। এটি সম্পদের বৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে।