দেশের একাধিক রাজ্যের মতো বাংলায় চিকিৎসক-রোগীর অনুপাত প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। বাংলায় প্রতি ১০,০০০ জন মানুষের জন্য একজন করে চিকিৎসক আছেন। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য💧 সংস্থা প্রতি ১০০০ জন মানুষের জন্য একজন করে চিকিৎসক থাকার সুপারিশ করেছে। এই অবস্থায় আরও চিকিৎসক বৃদ্ধির প্রয়োজন। সেই কথা মাথায় রেখে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৬০০-এরও বেশি এমবিবিএস আসন বৃদ্ধির জন্য ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (এনএমসি) কাছে আবে♏দন জানাল বাংলার মেডিক্যাল কলেজগুলি।
আরও পড়ুন: মেꦡডিক্যালে রক্তদান শিবির ঘিরে ডাক্তারি পড়ুয়াদের সংঘর্ষ, গঠিত হল তদন্ত কমিটি
সব মিলিয়ে বাংলার ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ এনএমসির কাছে আসন বৃদ্ধির বিষয়ে আবেদন জানিয়েছে। এই সমস্ত মেডিক্যাল কলেজগুলি ১০ বছর অথবা তারও বেশি পুরনো। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, জেলা এবং গ্রামীণ এলাকায় রোগীর পরিষেবা উন্নত করার জন্য আরও চিকিৎসক প্রয়োজন। প্রতি বছর আরও বেশি সংখ্যক ডাক্তারি🐻 পড়ুয়া স্নাতক হলে এই ব্যবধান পূরণ করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, বাংলায় ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজে মোট এমবিবিএস আসন সংখ্যা হল ৫,৭০০টি। এর মধ্যে আবার ২৪টি𝐆ই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ। তাই রোগী পরিষেবাকে আরও উন্নত করার জন্য রাজ্যে আরও চিকিৎসকের প্রয়োজন। এই কারণেই ১৪টি মেডিক্যাল কলেজ তাদের স্নাতক স্তরের আসন বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন।
সাধারণত বাংলার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ লাইন দিতে হয় রোগীদের। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি বাংলায় আরও বেশি ডাক্তারি পড়ুয়া স্নাতকোত্তর হন তাহলে আরও বেশি চিকিৎসক মোতায়েন সম্ভব হবে। এর ফলে কলকাতার হাসপাতালগুলির উপর দূরবর্তী জেলাগুলির রোগীরদের নির্ভরতা কমতে পারে। এবিষয়ে চেয়ারপার্সন বিএন গঙ্গাধর জানিয়েছেন, প্রতি বছর প্রায় ২৫ লক্ষ প্রার্থী নিট পরীক্ষায় অংশ নেন। দেশে ১.২০ লক্ষেরও কম এম♔বিবিএস আসন রয়েছে। এনএমসিও চায়ছে আরও বেশি সংখ্যক পড়ুয়াকে সুযোগ করে দিতে। এতে ডাক্তার-রোগীর অনুপাত বাড়বে।