মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ𒊎্গে কি মুখোমুখি দেখা হতে চলেছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের? এই প্রশ্ন এখন সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজ্য🎉–রাজনীতিতে। কারণ এখন গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ গঙ্গাসাগর যাওয়ার সূচি চূড়ান্ত করলেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই গঙ্গাসাগর উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে গিয়ে করবেন রাত্রিবাসও। ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ প্রকাশ করেছেন সফরসূচি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হতে পারে তাঁর বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বীকৃতি পায়নি গঙ্গাসাগর মেলা। সেটা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই বিষয়ে দেখা হলে নিশ্চয়ই কথা হবে।
এদিকে আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় গঙ্গাসাগরের উদ্দেশ্যে নামখানা নারায়ণপুর ফেরিঘাট থেকে যাত্রা শুরু করবেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। দুপুর দেড়টা নাগাদ দিলীপ ঘোষ সাগর বেণুবন ফেরিঘাটে পৌঁছবেন তিনি। তারপর দুপুর আড়াইটে নাগাদ স্বচ্ছ ভারত সেবাদল ক্যাম্প উদ্বোধন করবেন দিলীপবাবু। সেখান থেকে দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ বহুমুখী গ্রাম উন্নয়ন সমিতির ক্যাম্প পরিদর্শন করতে যাবেন। আর বিকেল ৪টে নাগাদ গঙ্গাসাগর মেলায় পৌঁছবেন দিলীপ ঘোষ। রাতে গঙ্গাসাগরেই থাকবেন দিলীপ ঘোষ। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এখানে পা রেখেই বলেন, ‘গঙ্গাসাগর সবচেয়ে বড় মেলা। আগে সকলে বলতেন, ‘সব সাগর বারবার, গঙ্গাসাগর একবার।’ কিন্তু এখন তাঁরা বলেন, ‘সব স💧াগর একবার, গঙ্গাসাগর বারবার।’
অন্যদিকে সোমবারই গঙ্গাসাগর পৌঁছন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাগর হেলিপ্যাড থেকেই একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী নিজের বক্তব্য থেকে কড়া বার্ত꧅া বিজেপিকে দেন মুখ্যমন্ত্রী। কুম্ভমেলার সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে বঞ্চনার অভিযোগ আনেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, মঙ্গলবারও সেখানেই আছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই আজ দিলীপ ঘোষের রাতারাতি গঙ্গাসাগর সফরের ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। এই কারণে ধরে নেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে দিলীপ ঘোষের।
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় করোনাভꦐাইরাসে মৃত্যু বৃদ্ধের, বছরের শুরুতেই প্রথম কোভিডে বলি
তবে এখানে আসছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনিও পরিদর্শন করবেন। দেখা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সাগরকে সাক্ষী রেখে এই সব ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘কুম্ভমেলার মতো একাধিক মেলা কেন্দ্রের সাহায্য পায়। প্রচুর টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু এইꦆ মেলার জন্য় সব খরচ করেꦑ রাজ্য সরকার এবং সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সহযোগিতা মেলে না। এবারের মেলায় পর্যটক বা পুন্যার্থীদের টানতে শুধুমাত্র আলোকসজ্জায় ৮ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বাংলার পর্যটন ক্ষেত্রগুলি উন্নয়ন করতে রাজ্য় সরকার চেষ্টা করে চলেছে। সেখানের কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা থাকলে আরও ভালে হতো।’