কথা দিয়ে কথা রাখার দলের নামই তৃণমূল কংগ্রেস। দু’দিন আগে এক সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে এই দাবি করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরই দেখা গেল, উপনির্বাচনে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করল রাজ্য সরকার। উত্তরবঙ্গে দুটি চা–বাগান বন্ধ হয়ে পড়েছিল। যা এবার খুলে দিতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো। আর তারপরই কথা অনুযায়ী, আগামী ১২ ডিসেম্বর খুলছে কালচিনি ব্লকের বন্ধ রায়মাটাং চা–বাগান। আর ১৯ ডিসেম্বর খুলছে ওই ব্লকেরই বন্ধ কালচিনি চা –বাগানও। এই দুই চা–বাগান খোলার খবর প্রকাশ্যে আসায় শ্রমিক মহলে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে আগেও বেশ কয়েকটি চা–বাগান খুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মালিকপক্ষের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সেই পথ সুগম করেছে। বোনাস নিয়েও রাজ্য সরকারকে উদ্যোগী হতে দেখা গিয়েছিল। এবার খুলে যাচ্ছে আরও দুটি চা–বাগান। তাও আবার উত্তরবঙ্গে। শনিবার দিন শিলিগুড়িতে শ্রম দফতরের ডাকা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কালচিনি ব্লকের বন্ধ ওই দু’টি চা–বাগান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চা–বাগান খোলার বিষয়ে শিলিগুড়ির দাগাপুরে শ্রমিক ভবনে বৈঠকও হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সামসি এবং বামনডাঙা চা–বাগানের মালিক ঋত্বিক ভট্টাচার্য। তিনিই এবার কালচিনি ব্লকের ওই দু’টি বন্ধ চা–বাগানের দায়িত্ব নিলেন।
আরও পড়ুন: ‘রাগ করে থাকলে হবে?’ বগটুই গণহত্যাকে অন্তরালে রেখে অনুব্রতর সামনে করজোড়ে মিহিলাল
অন্যদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসায় খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে উত্তরবঙ্গের মাটিতে। উপনির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, নিজেদের অধিকারকে সামনে রেখে ভোট দিলে এই দুই চা–বাগানও খুলে যাবে। মানুষ দু’হাত তুলে তৃণমূল কংগ্রেসকে আশীর্বাদ করেন। আর তারপরই খুলে যেতে চলল রায়মাটাং এবং কালচিনির বন্ধ চা–বাগান। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধ হয় কালচিনি ব্লকের এই দু’টি চা–বাগান। দুর্গাপুজোর বোনাস নিয়ে শ্রমিক অসন্তোষই বন্ধ হয় চা–বাগান দু’টি। কালচিনি চা–বাগানে ২০২৩ জন শ্রমিক ছিল। আর রায়মাটাং চা–বাগানের শ্রমিক সংখ্যা ১২৫৮ জন।