একশো দিনের কাজের টাকা বকেয়া রেখে ইতিমধ্যেই সংসদে বিপাকে পড়েছে মোদী সরকার। এবার বাংলায় আবাস যোজনা নিয়ে আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে নয়াদিল্🎉লি। একদিকে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে বিজেপি। অপরদিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে এখন সরগরম রাজ্য–রাজনীতি। আজ, বুধবার আবার বাংলায় আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। চারদিন ধরে এই প্রতিনিধিদলের সদস্যরা নানা জেলায় ঘুরবেন। তারপর সেখান🐠 থেকে আবাস নিয়ে তথ্য জোগাড় করে রিপোর্ট পেশ করবে নয়াদিল্লিকে। তবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর তারিখের মধ্যে মন্ত্রককে জমা দেওয়া হবে আবাস নিয়ে রিপোর্ট।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন শহরে নেই তখনই আসছে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পাল্টা এখানের রিপোর্ট এবং তালিকা আগেই পাঠিয়েছিল নবান্ন। যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনও অভিযোগ তোলা হয়নি। তবে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ১৫ নভেম্বর রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের সচিবকে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের এই আগমন নিয়🦩ে অবাক নবান্ন।
অন্যদিকে যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল সেখানে অভিযোগ তোলা হয়েছে, অ্যাকশন টেকেন রিপোর্টে অসঙ্গতি রয়েছে। ন🌄দিয়া, কালিম্পং ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ বাংলার কয়েকটি জেলা নিয়ে যে রিপোর্ট নবান্ন পাঠিয়েছিল তাতে অসঙ্গতির কথা উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তারপরও কেন প্রতিনিধি দল আসছে? এটা নিয়েই প্রশ্ন তুলছে নবান্ন। ন্যাশনাল লেভেল মনিটরিং ডিভিশনকে চিঠি দিয়ে আসার কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। আর এখানে এসে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি–সহ বিভিন্ন জেলাতে সদস্যরা যাবেন। এমনকী সদস্যরা যাবেন পঞ্চায়েত দফতরেও। সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি জ🎃নসভা হতে চলেছে মমতা–🗹শুভেন্দুর, শিলিগুড়িতে চড়ছে রাজনীতির পারদ
আর কী জানা যাচ্ছে? এই তদন্ত করার বিষয়টি প্রথম ঘটছে এমন নয়। চলতি বছরের শুরুতেও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতি অভিযোগ তুলে তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেই দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের উচ্চপদ🍰স্থ অফিসাররা। তখন পূর্ব মেদিনীপুর এবং মালদায় পৌঁছে প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন তাঁরা। তারপর যে রিপোর্ট তাঁরা নয়াদিল্লিকে দিয়েছিলেন সেখানে যথেষ্ট তথ্য ছিল না বলে অভিযোগ নবান্নের। এবার আবার তাঁরা এসে কি রিপোর্ট দেন সেটাই এখন দেখার।