ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে ১৫ ফুটের অজগর। নড়াচড়ার ক্ষমতা নেই। পেটের কাছে গম্বুজের মতো ফুলে ফেঁপে উঠেছে। আস্ত হরিণ খেয়ে এভাবেই একটি প্রকাণ্ড অজগরকে নেতিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেল ডুয়ার্সের জঙ্গলে। প্রথমে ওই অজগরটিকে দেখতে পান জঙ্গল পরিষ্কার করতে আসা শ্রমিকেরা। সোমবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ডুয়ার্সের খয়েরবাড়ি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। এদিন জঙ্গল পরিষ্কার করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তখনই ঝোপের মধ্যে থেকে কিছু খসখস আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। যেখান দিয়ে আওয়াজ আসছিল, সেই জায়গার গাছপালা সরাতেই, স্তম্ভিত হয়ে যান শ্রমিকরা। তাঁরা দেখেন, প্রায় ১৫ ফুটের মতো প্রকাণ্ড অজগর আস্ত একটা হরিণ প্রায় গিলে ফেলেছে। নিজের শরীরের চেয়ে কয়েক গুণ বড় ওই হরিণটিকে খাওয়ার পর নেতিয়ে পড়ে অজগরটি। তার পেটের কাছটায় এমন ভাবে ফুলে যায়, যে নড়াচড়া করার মতো ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে সাপটি। মরণাপন্ন অবস্থা হাওয়ার জোগাড় হয়। জানাজানি হতেই অজগরটিকে দেখতে সেখানে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ ওঠে, অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে সেলফি তুলতে শুরু করেন। তার পরে শ্রমিকেরা বনদফতরে খবর দেন। বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজগরটির উপর নজরদারি চালাতে শুরু করেন। যাতে অজগর সাপটিকে কেউ আঘাত বা বিরক্ত করতে না পারে। খাবার হজম হলে সে নিজেই আর জঙ্গলের গভীরে ফিরে যাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। বনকর্মীদের কথায়, বহু ক্ষেত্রে এমনটা হয়। নিজের শরীরের চেয়ে বড় কোনও বন্যপ্রাণী খেয়ে নিলে, অনেকদিন এইভাবে এক জায়গায় পড়ে থাকে অজগর। তারপর হজম হলে নিজে থেকেই জঙ্গলে চলে যায়। এ প্রসঙ্গে অননারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, ‘শুনেছি হরিণ খেয়েছে অজগর সাপটি। লম্বা প্রায় ১৫ ফুট হবে, বৃহৎ আকারের কোনও প্রাণী খাওয়াতেই সেটি নড়াচড়া করতে পারছে না।’উল্লেখ্য, ডুয়ার্সের বিভিন্ন লোকালয়ে বর্ষা শুরু হতেই দেখা মেলে অজগরের। নীচু জায়গায় জল জমে যায়, যেকারণে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসে অজগর।