হাতে সময় বলতে একবছর। তারপরই বাংলায় শুরু হয়ে যাবে বিধানসভা নির্বাচন। এই কারণে এখন থেকে জনসংযোগ করতে হবে। নেমে পড়তে হবে সাংগঠনিক কাজে। মানুষের কাজ আগে করতে হবে। ২১৫ আসনের লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাতে সিলমোহর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই মাঠে নেমে পড়লেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব। চার হাজার নাগরিককে নিয়ে বাগডোগরার জঙ্গলে পিকনিক করলেন। তাতে জনসংযোগও হল। আবার আনন্দও লাগল।
এদিকে শাল–সেগুনের ঘন জঙ্গলে মেয়রের উদ্যোগে মেতে উঠলেন মানুষজন। পাখি এবং ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকের মধ্যেই পিকনিকের দারুণ পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। সেখানে মেয়রকে কাছে পেয়ে নানা কথা এবং পরামর্শ দিয়েছেন শিলিগুড়ি পুরসভার অন্তর্গত নাগরিকরা। এই প্রাকৃতিক পরিবেশে পিকনিক করার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি এবং ক্যুইজের আসর জমজমাট হয়ে ওঠে। এভাবেই রবিবার নকশালবাড়ির ট্রি–ল্যান্ডে হয়ে গেল মেয়রের নেতৃত্বে পিকনিক। এই বিপুল পরিমাণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পিকনিক অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস, ভুয়ো ভোটার ইস্যুতে পদক্ষেপ
অন্যদিকে এখানে মেয়র গৌতম দেব আয়োজন করেছিলেন নাগরিকদের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা। আরও কেমন করে শিলিগড়ির উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে মুখোমুখি হয়েছিলেন মেয়র। নাগরিকরাও নানা পরামর্শ দিয়েছেন। মেয়র তা লিখে রেখেছেন। আগামী দিনে সেগুলি এক এক করে করা হবে। আর যে কাজগুলি করা হয়েছে তা সকল নাগরিককে জানিয়েছেন মেয়র। এই পিকনিকে মধ্যাহ্নভোজও ছিল বিশেষ আকর্ষণের। যা চেটেপুটি খেয়েছেন নাগরিকরা। ভাত, ডাল, আলুভাজার সঙ্গে ছিল মাছ, মাংস এবং শেষ পাতে চাটনি। সুতরাং মেয়রের পিকনিক এককথায় হিট করে গিয়েছে।
এছাড়া এই পিকনিকে নাগরিকদের একাধিক বাসে করে নিয়ে যাওয়া হয় নকশালবাড়ির ট্রি–ল্যান্ডে। বাগডোগরার জঙ্গল এত নাগরিকদের উপস্থিতিতে গমগম করছিল। প্রত্যেক ওয়ার্ডের পুরুষ–মহিলারা ছিলেন। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ, তৃণমূল কংগ্রেসের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী (সমতল) পাপিয়া ঘোষ–সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই পিকনিক নিয়ে মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘বছরের বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কেটে যায়। সকলের খোঁজ নেওয়া তখন সম্ভব হয় না। তাই এবার ৪৭টি ওয়ার্ডের নাগরিকদের নিয়ে একটু অন্যরকম আমেজে কাটালাম। শহরে এমন পিকনিক প্রথম হল। নাগরিকদের সঙ্গে সবরকম কথা হল।’