বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হঠাৎ পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। রাজনীতিতে আসতে পারেন ধরে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। তিনি রাজনীতিতে আসছেন বলেও জানিয়েছেন। যদিও নির্দিষ্ট কোন দলে যাবেন সেটা খোলসা করেননি। এই আবহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪৮ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বলেছেন সকলকে। কারণ তাঁর নেতৃত্বে ৭ মার্꧃চ বড় যোগদান সভা রয়েছে। তাই অনেকে ধরে নিচ্ছেন সেখানে দেখা যাবে বিচ📖ারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলেও ধরে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে ‘তিনি যেখানেই দাঁড়াবেন, সেখানেই হারবেন’ বলে চড়া সুরে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে আগামী মঙ্গলবার বিচারপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মানুষের জন্য বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করতে চান তিনি। তবে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিচারপতিকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আহ্বান করেছেন। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তবไ্য করেননি বিচারপতি। তবে আগামী মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের মাস্টারদা সূর্য সেন মূর্তির পাদদেশে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে জানান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: যাবতীয় নির্দেশ পালন করার বার্তা কমিশনের ফুলবেঞ্চের, আজ রাজনৈতিক 🍃দলগুলির সঙ্গে বৈঠক
অন্যদিকে বিরোধী দলে যোগদানের বিষয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে কড়া আক্রমণ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলি জেলার কোন্নগরে ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সমাবেশ’–এর সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেসের পথসভায় যোগ দেন কল্যাণ ব🔯ন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতির পদে বসে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। যেখানে দাঁড়াবে সেখানে হারাব। আসুক রাজনীতির ময়দানে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় বিচারব্যবস্থাকে নষ্ট করা হয়েছে। প্রলোভন দেখিয়ে বিচারপতিদের কিনতে চেয়েছে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও ইস্তফা করিয়ে সাংসদ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। রাজনীতি অত সহজ নয়। এতদিন ওই পদে বসে অপব্যবহার করেছ। এসো এবার রাজনীতির ময়দানে দে💞খি কত ক্ষমতা।’
তবে এখানেই থেমে থাকেননি শ্রীরামপুরের সাংসদ। শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলায় যে রায় দেওয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বলে অভিযোগ তোলেন কল্যাণ। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আমি প্রথম থেকে বলেছি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে বিচার করছেন। আজ সেটা প্রমাণ✱ হল। আগে শুভেন্দু–রাজীবরা যখন বিজেপিতে যায়, আমি আট মাস আগে বলে দিয়েছিলাম। বাংলা নয় ভারতবর্ষের বিচারব্যবস্থার একটা কলঙ্ক উনি। ওনার মতো লোকের জন্য বিচারব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা হারাচ্ছে মানুষ।’