সোমবারই (২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দক্ষিণ কলকাতার ধনধান্য স্টেডিয়ামে আয়োজিত চিকিৎসকদের সঙ্গে সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এবার থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বাৎসরিক উৎসব বা ফ𒆙েস্ট পালন করার জন্য ২ কোটি টাকা অনুদান দেবে রাজ্য সরকার। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এ নিয়ে মামলা রুজু করার আবেদন মঞ্জুর কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিষয়টি নিয়ে এদিন (মঙ্গলবার - ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) উচ্চ আদꦇালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এক আইনজীবী। এই অর্থ বরাদ্দ করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সম্ভাব্য দুর্নীতি নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর সেই আবেদনের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এ নিয়ে মামলা রুজু করার অনুমতি দেয়।
প্রসঙ্গত, ম🦩ুখ্যমন্ত্রীর এই⛎ ঘোষণা নিয়ে সোমবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এই বিপুল অঙ্কের টাকা অনুদান হিসাবে দেওয়ার অর্থ হল, নতুন করে আরও একটি দুর্নীতির পথ প্রস্তুত করা!
একইসঙ্গে, জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন ছিল, যেখানে সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই, অত্যাধুনিক ও সচল পরিকাঠামো সর্বত্র গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি, এমনকী হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যন্ত নেই, সেখানে ফেস্ট-এর নামে অনুদান করে টাকা নষ্ট করা হবে কেন? এমনকী, সংশ্লিষ্ট একটি মহল এই অনুদানের সঙ্গে পাড়ার ক্লাবগুলিক𝓀ে করা খয়রাতিরও মিল খুঁজে পেয়েছে🥂!
এদিন আদালতে এই যুক্তিগুলি উত্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।ꦰ পাশাপাশি, তিনি আরও একটি বিষয়ের দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ওই আইনজীবী জানান, বছরের পর বছর ধরে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করানো হয়নি। কলেজগুলিতে কোনও নির্বাচ𝓰িত ছাত্র প্রতিনিধিই নেই। তাহলে ফেস্টের জন্য অনুদান কাদের দেওয়া হবে? কারা সেই টাকা খরচ করবে? এই সিদ্ধান্ত কারা নেবে?
ওই আইনজীবীর আশঙ্কা, এভাবেই মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নতুন একটি দুর্নীতির রাস্ত🐲া খুলে যাবে। এরপরই তাঁকে এই ঘটনায় মামলা রুজু করার অনুমতি দেয় উচ্চ আদালত। একইসঙ্গে, সেই মামলার সঙ্গে ছাত্র সংসদের নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়টিও জুড়ে দিতে বলা হয়। খুব সম্ভবত আগামী বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) এই মামলার শুনানি হতে পারে।