পটাশপুরে এক গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনায় মহিলার দেহের ময𝕴়নাতদন্ত হয়েছে। তবে তাতে সন্তুষ্ট নয় মৃতের পরিবার। এনিয়ে আগেই হাইকোর্টে দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল পরিবার। সেই মতোই পুলিশি তদন্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত ও সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে গৃহবধুর পরিবার। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের দ্বারস্থ হয় মৃতের পরিবার।
আরও পড়ুন: পটাশপুরে মৃতার ময়নাতদন্তে অখুশি গোটা পরജিবার, দেহ নিতে অস্বীকার, মামলার হুমকি
পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল গত ৬ অক্টোবর। তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ,🌳 স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুন করে অভিযুক্ত যুবক। এই প্রথম নয়, এর আগেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এমন একাধিক অভিযোগ 𒈔ওঠে। মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। প্রতিবেশীরা জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণ করার বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, ওই গৃহবধূ যাতে কাউকে কিছু না বলতে পারেন তার জন্য ধর্ষণের পর গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়।জানা যায়, কীটনাশক খাওয়া অবস্থাতেই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। এরপর তাকে তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
এদিকে, বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব🧔্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পটাশপুর থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে এলাকায় আটকে রাখা হয়। পুলিশকে ঘিরেও ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। এদিকে, গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় অভিযুক্তে🔴র।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ওই গৃহবধূর ওপর প্রতিবেশী যুবকের দীর্ঘদিন ধরেই কুনজর ছিল। তাঁকে একাধিকবার আগে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। ওই গৃহবধূ তাঁকে সতর্ক করেন। পাশাপাশি অভিযুক্তের সঙ্গে তাঁরই ভাইয়ের বউয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গৃহবধূ তাদের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন। নির্যাতিতার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘরে ঢুকে ওই মহিলাকে মারধর করে। এরপর তাঁকে কীটনাশক খাইয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথম ময়নাতদন্তে ধর্ষণের প্রমাণ না মিললেও ব🤡িষক্রিয়ায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছিল রিপোর্টে।