এবার গরিব মানুষের জন্য দুঃখের খবর সামনে এল। নতুন বছরের শুরুতেই রেশন ডিলাররা ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নানা দাবিতে ২০২৪ সালের প্রথম দিন থেকেই লাগাতার রেশন ধর্মঘটে যেতে চলেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস ডিꦓলার অ্যাসোসিয়েশন। আর এই ঘটনা ঘটলে ভোগান্তির মুখে পড়বেন দেশের ৮০ কোটি ৩৫ লক্ষ রেশন উপভোক্তা। গরিব মানুষের ভরসা এই রেশন। বিনামূল্যে এবং কয়েকটি জিনিস কম দামে তাঁরা প🌱েয়ে থাকেন। কিন্তু এই ধর্মঘট যদি হয় তাহলে তা কপালে ভাঁজ ফেলবে প্রান্তিক গরিব মানুষজনকে।
এদিকে করোনাভাইরাসের সময় থেকেই দেশের রেশন ডিলাররা কমিশন বৃদ্𒅌ধির দাবি জানিয়ে আসছেন। তাতে কোনও সমাধান হয়নি। রেশনে ১ কুইন্টাল চাল﷽ বা গম এখন গ্রাহকদের হাতে তুলে দিয়ে ডিলাররা এখন ৯৫ টাকা কমিশন পান। অথচ বিভিন্ন কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে ৪৫৭ টাকা কমিশন করার কথা। সেটা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রেশন ডিলাররা। তার উপর রেশন গ্রাহকদের উপর নানা চাপ থাকেই। কিন্তু তাঁদের কথা সরকার শুনছে না বলে অভিযোগ। এইসব নানা কারণ নিয়ে এবার রেশন ডিলাররা ধর্মঘটের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে রেশন ডিলারদের কোনও সুপারিশ কার্যকর করেনি কেন্দ্রীয় সরকার বলে অভিযোগ। ই–পস মেশিনের স্ট♈ক নিয়ে নানা সমস্যা রয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রত্যেক মাসের শুরুতে বরাদ্দ তꦐালিকা ই–পস পদ্ধতিতে তালিকা আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে। অথচ তা ডিলারের কাছে পৌঁছতেই পারছে না। এই নিয়ে একটা বিস্তর টানাপোড়েন চলছে। কারণ যে তালিকা প্রকাশ হচ্ছে আর যা হাতে পাচ্ছেন ডিলাররা তাতে বিস্তর গড়মিল আছে। এমনকী এই কারণে ডিলার–গ্রাহকের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়। এটা নিয়ে বারবার বললেও কোনও সমাধান হয়নি বলেই অভিযোগ।
আরও পড়ুন: এসএসকেএম থেকে ছাড়া পেলেন মদন মিত্র, বেরিয়ে কী বললেন কামারহাটির 𝔍বিধায়ক?
এছাড়া নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে এভাবে মাসের পর মাস রেশন ডিলারদের পক্ষে গণবন্টন ব্যবস্থা টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই সার্বিক পরিস্থিতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায় খাদ্যভবন অভিযান করবেন রেশন ডিলাররা। আর জানুয়ারি মাসের শুরুতে সংসদ ভবন অভিযান। ১ জানয়ারি থেকে দেশ জুড়ে লাগাতার রেশন ধর্মঘট শুরু হবে। এই ধর💞্মঘটে সামিল হবেন দেশের ৫ লাখ ৩৮ হাজার রেশন ডিলার। যার মধ্যে বাংলার ২০ হাজার ২৭১ জন ডিলার আছেন। এই ঘটনা ঘটলে অসুবিধায় পড়তে পারেন দেশের ৮০ কোটি ৩৫ লাখ রেশন উপভোক্তা। আর বাংলায় ৮ কোটি ৮০ লাখ গ্রাহক।