বাংলাজুড়ে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। তাও আবার নিত্যনতুন ফাঁদ পেতে। যার জেরে বেশ চাপে পড়ে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিশ্বাস করে ঠকতে হচ্ছে। কৌতূহল নিয়ে লিঙ্কে ক্লিক করে সর্বস্বান্ত হতে হচ্ছে। আবার ওটিপি পাঠিয়েও জা🃏লিয়াতি করা হচ্ছে। এই নিয়ে এখন বেশ আতঙ্কে আছেন সাধারণ মানুষ। জালিয়াতদের খপ্পরে পড়ে টাকা খোয়ানোর পর সাধারণ মানুষ কী করবেন বুঝতে পারছেন না। তাঁরা কোথায় অভিযোগ জানাবেন সেটা নিয়েও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। এই সমস্যার সমাধান করতে এবার রাজ্য পুলিশের সাইবার ক্রাইম উইং (সিসিইউ) এবার আলাদা থানা তৈরি করতে চাইছে। তাই এই বিষয়ে চিঠি লিখে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে নবান্নে। যা নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে সাইবার ক্রাইম বিভাগ বা সেল আছে। প্রত্যেকটি জেলায় এবং পুলিশ কমিশনারেটে সাইবার ক্রাইম থানা আছে। আর এখানে এসে প্রতারিত মানুষ অভিযোগ জানাতেই পারেন। কিন্তু এখানে একটা অস🍌ুবিধা আছে। সেটা হল এই থানার মধ্যে থাকা সাইবার ক্রাইম সেলে উন্নতমানের পরিকাঠামো নেই। যার জেরে তদন্ত ক💝রতে গিয়ে বিস্তর অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। আর সাইবার ক্রাইম অপরাধীরা রোজই নিত্যনতুন ফন্দি–ফিকির বের করছে। নতুন পথ ধরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ যখন টের পাচ্ছেন তখন আর কিছুই করার নেই।
আরও পড়ুন: জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌনতা করলেও স্বামী অপরাধী নয়, পর্যবেক্ষণ ছত্তিশগড় হাইকোর্টের
অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে সাইবার ক্রাইম অপরাধীদের মোডাস অপারেন্ডি বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে। এটা বুঝতে প্রয়োজন দক্ষ সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ। তার সঙ্গে দরকার পৃথক সাইবার ক্রাইম উইং। এই পৃথক সাইবার ক্রাইম উইং গড়ে উঠলে জেলাগুলিতে এমন ঘটনা ঘটলে তাদের সাহায্য করা সহজ হবে। কারণ জেলাগুলি থেকে নানা সময় এমন অপরাধের ক্ষেত্রে তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়। আর তা জোগাড় করে দিতে বেশ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। আলাদা থানাই এই সমস্যার একমাত্র সমাধান। জেলায় গিয়ে এমন অপরাধের তদন্ত করতে গে▨লে সাইবার ক্র🍎াইম উইংয়ের তদন্তকারীরা বেশ সমস্যায় পড়ছেন।