এবার বাংলার এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বিজেপি নেতা নিজের দলের পদ ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন বলে উঠছে অ✨ভিযোগ। আর সেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনলেন আর এক বিজেপি নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ত🦩োলপাড় বঙ্গ–বিজেপি। এমনকী এই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে চিঠি লিখে ইমেল করা হয়েছে নয়াদিল্লিতেও। এবার বিস্ফোরক এই খবর প্রকাশ্যে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে লেখা অভিযোগপত্র দেখিয়ে এই দুর্নীতির দাবি করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে জেপি নড্ডা এবং সুনীল বনসলের কাছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছেও এই অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছে। রাজ্য বিজেপির ওই নেতার বিরুদ্ধে লেখা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ স💛াল এই দু’বছরের মধ্যে বিজেপির ওই গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং পদাধিকারী কার্যত দলকে বিক্রি করে দিয়েছেন। পদের অপব্যবহার করে, ক্ষমতাবলে পদ দেওয়ার নাম করে ও টিকিট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। একাধিক লোকের থেকে যে সম্পত্তি হস্তগত করেছেন সেসব তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের নামে রেখেছেন।
আরও পড়ুন: ‘বাংলায় যাও, রাজ্যসভার টিকিট পাও’, জাতীয় মহিলা কমিশনকে তুলোধনা করল তৃণমূল
এই চিঠি এবং দুর্নীতির অভিযোগ সামনে নিয়ে এসেছেন কুণাল ঘোষ। তাই এবার তিনি বড় পদক্ষেপ করতে চলেছেন বলেও জানিয়েছেন। কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেছেন, ‘যে বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি হয়েছে বলে বড় বড় কথা তুলে ধরে সেই বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা দলকে বিক্রি করে দিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি করছেন। এবার কোন মুখে কথা বলবে বিজেপি! কেন এই নেতার বিরুদ্ধে ইডি–সিবিআই তদন্ত করবে না? কেন্দ্রীয় এজেন্সি কী করবে সেটা তাদের ব্যাপার, কিন্তু দলের পক্ষ থেকে ইডি–সিবিআইয়ের কাছে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে। আর অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও সিআইডির কাছেও এই অভিযো🧔গপত্র জমা দিয়ে তদন্তের দাবি করা হবে।’
এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই অভিযোগপত্রে কোন পুরসভা, প্লট, বাড়ির নাম, ফ্ল্যাটের নাম, ডিড নম্বর, জমির মাপ, খতিয়ান, গ্যারাজ আছে কিনা সব তথ্য নির্দিষ্ট আকারে দেওয়া হয়েছে। ওই নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, যাঁদের নামে বিপুল সম্পত্তি রয়েছে তাঁদের আগের সম্পত্তির সঙ্গে এখনকার সম্পত্তির তালিকা খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে কোথায় ফাঁক রয়েছে। এমনকী কোথায় কতটা দুর্নীতি হয়েছে। যিনি এই দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন এবং ইমেল করেছেন তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব তথ্য সামনে আসবে। তখনই জানা যাবে দুর্নীতির রুট কোথায় পৌঁছেছে।