বাঙালি মানে ক্রীড়াপ্রেমী! জাতীয় প্রতিযোগিতা হোক কি রাজ্যভিত্তিক, সবেতেই বাঙলির কাছে সবার আগে নাম আসে ও মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গলের। তবে এই লড়াই শুধু ফুটবলের মধ্যে সীমিত নয়। এখন এই লড়াই উপভোগ করছে ক্রিকেটপ্রেমীরাও। ইডেন গার্ডেন্সে দুই দলের বিরুদ্ধে চলতি ম্যাচ সিটে জমিয়ে রেখেছে দর্শকদের। ম্যাচের শুরুর দিকে মোহনবাগান সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও, দারুণ কামব্যাক করেছে ইস্টবেঙ্গল। লড়াইতে ফিরেছে তারা। তবুও সামান্য হলেও এগিয়ে মোহনবাগান। তবে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে ম্যাচ যেকোনও মুহূর্তে ঘুরে যেতে পারে। একেবারে টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ম্যাচে।
প্রথমদিন টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় মোহনবাগান। ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৭৪ রানে। মোহনবাগানের বোলারদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে রীতিমতো মাথানত করে ইস্টবেঙ্গলের ব্যাটাররা। একেবারে তাসের ঘরের মতো গুঁড়িয়ে যায় তাদের ব্যাটিং অর্ডার। মোহনবাগানের বোলারদের মধ্যে বিধ্বংসী বোলিং করেন তরুণ পেসার রোহিত কুমার। তিনি একাই তোলেন চারটি উইকেট এবং ভেঙে দেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের কোমর। বাকি বোলাররাও ফেলতে পেরেছে প্রভাব।
ম্যাচে সমতা ফেরাতে হলে ইস্টবেঙ্গলের কাছে একমাত্র রাস্তা ছিল দ্রুত মোহনবাগানকে অলআউট করা। তবে যেমন কথা তেমন কাজ। অল্প রানের মধ্যে সবকটি উইকেট হারায় মোহনবাগানও। যদিও এদিন শুরুটা ভালো হয় মোহনবাগানের। লিড নেওয়ার লক্ষ্যে নেমে ভালোই শুরু দেয় দুই ওপেনার। একটি বড় রানের পার্টনারশিপ গড়েন অধিনায়ক সুদীপ কুমার ঘরামি এবং অঙ্কুর পাল। ১২৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় তারা। তবে এরপর আর সম্ভব হয়নি ঘুরে দাঁড়ানোর। ১৮৯ রানে সকলেই ফিরে যায় প্যাভিলিয়নে। অর্থাৎ ১৫ রানে এগিয়ে তারা।
ইস্টবেঙ্গলের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান অমিত কুইলা এবং অয়ন ভট্টাচার্য। এছাড়া একটি করে উইকেট তোলেন সুমিত মোহান্তি, শ্রেয়ান চক্রবর্তী এবং সাত্যকি দত্ত। অর্থাৎ এবার মোহনবাগানের ক্ষেত্রেও ঘুরে দাঁড়াতে হলে একমাত্র উপায় দ্রুত ইস্টবেঙ্গলের উইকেট ফেলা। এবার দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করে। কে পকেটে তুলবে ম্যাচ? কারা হবেন তুরুপের তাস? সব উত্তর পাওয়া যাবে শেষ দিন। তবে দিনের শেষে জমে উঠেছে ম্যাচ। জয়ের দরজা খোলা রয়েছে দুই দলের জন্যই।