সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা জিতে রাতারাতি লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন সেলিনা জেটলি।ౠ ২০০১ সালে মিস ইন্ডিয়া খেতাব জিতেছিলেন এই সুন্দরী। তাঁর চাবুক ফিগার আর সুন্দর মুখে নজর আটকে ছিল ফিরোজ খানের, ছেলে ফরদিনের বিপরীতে নায়িকা হিসাবে সেলিনাকে লঞ্চ করেন তিনি। কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেভাবে পায়ের নীচের মাটি শক্ত করতে পারেননি সেলিনা। বিয়ের পর শোবিজ দুনিয়া ছেড়ে এখন ঘোর সংসারি এই সুন্দরী। তিন সন্তানকে সামলাতেই হিমসিম খাচ্ছেন। ২০১২ সালে ও ২০১৭ সালে,দু'বার যমজ সন্তান প্রসব করেন অভিনেত্রী। যদিও দ্বিতীয়বার তাঁর এক সন্তানকে বাঁচানো যায়নি। হৃদরোগের কারণে ছেলেকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
কেন বারবার যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করেন সেলিনা? তবে কি প্রাকৃতিক উপায়ে প্রেগন্যান্ট হন না অভিনেত্রী! তিনি কি আইভিএফ বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মতো কৃত্রিম পদ্ধতিতে𒅌 গর্ভবতী হয়েছেন? সম্প্রতি এমনই বাঁকা প্রশ্নের মুখে পড়লেন সেলিনা। ইনস্টাগ্রামে ‘যেমন খুশি প্রশ্ন করো’র সুযোগ দিলে এহেন কটাক্ষ ধেয়ে আসে নায়িকার দিকে। যার জবাব দিলেন ‘জানশিন’ নায়িকা।
সেলিনা লেখেন, ‘হয়꧒তো এই প্রশ্নটা আপনাদের অনেকের মনেই রয়েছে।’ এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমার একটা বিরল জিনগত পরিস্থিতি রয়েছে, এর জন্য আমি গর্ভবতী হলে দেখতে আলাদা যমজ সন্তান বা একাধিক সন্তানকে একসঙ্গে ধারণ করব, এটা বংশগত রোগ। কিছু মানুষের মধ্যে এমন কিছু বিরল জিন থাকে যার জেরে ওভালুয়েশনের সময় একের বেশি ডিম্বাণু বার হয়, এবং শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে পড়ে। এর জন্যই বংশ পরম্পরায় যমজ সন্তান আসতে থাকে’।
সেলিনার স্বামী পিটার হাগ নামী অস্ট্রিয়ার ব্যবসায়ী,তাঁর হোটেল চেন রয়েছ🍬ে। ২০১২ সালে দুই যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম দেন সেলিনা, ২০১৭ সালেও দুই যমজ ছেলে হয়েছিল অভিনেত্রীর। এক সন্তানকে হারানোর যন্ত্রণা সামলে আপতত তিন সন্তানকে আগলে রেখেছেন অভিনেত্রী। দু-দিন আগেই পুত্র হারানোর যন্ত্রণাদায়ক স্মৃতি শেয়ার করে সেলিনা লিখেছিলেন, ‘আমাদের জীবনের এই পর্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার পাঁচ বছর লেগে গিয়েছে। কিন্তু আমি অবশেষে সেই সময়ের কথা বলার মতো সাহস জোগাড় করে ফেলেছি আমি আর পিটার। আমাদের সন্তানরা সময়ের আগেই জন্মেছিল (৩৬ সপ্তাহ) এবং শিশু হারানোর আঘাত মোকাবিলা করা সহজ ছিল না'।
৩ মাস এনআইসিইউতে ছিল সেলিনার ছেলে শাম♏সের তবুও শেষরক্ষা হয়নি। ২০২০ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেলিনা জানিয়েছিলেন বিয়ের পর বলিউড ছাড়ার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরূপে তাঁর ব্যক্তিগত। আউটসাইডার হয়ে ভালো চরিত্র খুঁজতে খুঁজতে হাঁফিয়ে উঠেছিলেন সেলিনা, সেইজন্যই ছবি থেকে বিরতি নেন তিনি।
শেষবার রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের শর্টফিল্ম ‘সিজন ꩲগ্রিটিংসে’ পর্🍷দায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী সেলিনা জেটলিকে। ২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি।