বাংলাদেশি নাগরিকদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানে 'না' বলে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। আর এই ঘটনা নিয়েই নতুন করে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে জলঘোলা শুরু হয়েছে। আর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুললেন সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন।
ঠিক কী বলেছেন কবীর সুমন?
বিডি নিউজ-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার এক অডিয়ো বার্তায় শিল্পী বলেছেন, 'আমার লজ্জা করছে। ধিক্কার জানাচ্ছি। যেসব ছাত্র এটা করেছেন, তারা অন্যায় করেছেন। তারা কিন্তু আসলে ভারতের যে স্পিরিট, ভারত আত্মার বিরোধিতা করেছেন। তারা ভারতকে ছোট করেছেন। ভারতকে যদি তারা তাদের মাতৃভূমি মনে করেন, সে মাতৃভূমির মুখ ম্লান করে দিয়েছেন।'
ঠিক কী ঘটেছে?
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গীয় গ্রন্থাগার পরিষদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক। তবে সেকথা জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু পড়ুয়া ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দ্বারস্থ হন। তাঁদের দাবি, বাংলাদেশি কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেওয়া যাবে না। পরে বিশ্ববিদালয় কর্তৃপক্ষের তরফে পরে বাংলাদেশি আমন্ত্রিতদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়। এদিকে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বাংলাদেশি ডেলিগেট কলকাতায় চলেও এসেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে বলেন, 'বাংলাদেশি নাগরিকরা ক্যাম্পাসে উপস্থিত হলে তা নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হত বলে খবর পেয়েছি। যদিও আমরা প্রথমে পড়ুয়াদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম।' তবে আর পড়ুয়াদের আপত্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি নাগরিকদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগদানে 'না' বলে দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য।
ঘটনা নিয়ে পড়ুয়াদের বক্তব্য, বাংলাদেশ থেকে রোজই ভারতকে অপমান করা হচ্ছে। তাই বাংলাদেশিদের কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আসা নিয়ে তাঁদের আপত্তি ছিল।
এদিকে আবার আগামী বছরের (২০২৪) ফেব্রুয়ারিতে আবার পরিষদের সভা হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে ভারতের অতিথিদের আমন্ত্রিত থাকার কথা। বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রভাব ঢাকার অনুষ্ঠানে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।