🤡 কিঞ্জল নন্দের উপর এখন অভিযোগ, আরজি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রচারের আলোয় আসা। নিন্দকদের দাবি, সাধারণ মানুষের কাছে এতটাও পরিচিত নাম ছিলেন না ডাক্তার-অভিনেতা। তবে এখন তিনি এতটাই জনপ্রিয় যে, রীতিমতো বিজ্ঞাপনেও কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। শুধু শসক দলের ঘনিষ্ঠরা নয়, বরং বাংলর এক জনপ্রিয় মহিলা সাংবাদিকের সঙ্গেও চলছে তু তু ম্যায় ম্যায়।
🍌এবার সরাসরি আসরে নামলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণল ঘোষ। তিনি লিখলেন, ‘আরজিকরে গ্রেপ্তার, বিচার সব চলছে। ওদিকে মানুষের আবেগকে ভুল খবর আর নাটকে বিভ্রান্ত করা ধান্দাবাজগুলো পুজোর সময় পুজো বানচাল করতে 'উৎসবে নেই, দ্রোহের কার্নিভালের' নামে পুজোর পরিবেশ নষ্ট করে যে অসভ্যতা করেছিল, তাদের এখনকার পোস্টগুলো দেখুন। এই কদিনেই তারা নিজেদের পেশা, প্রমোশন, ফ্যাশন প্যারেড, অন্য রাজনীতিতে নেমে পড়েছে।’
🥃‘প্রতিবাদের নামে যারা বেশি নাটক করেছিল, তাদের পোস্টেই আজ বৈপরীত্য সর্বাধিক। তা বাপু, পুজোটাকে তেতো করতে এত চেষ্টা, আর মাস ঘুরতেই অন্য নাচনকোঁদনের পোস্ট দিতে পারছে কী করে?’, আরও লেখেন কুণাল। যদিও তিনি কোথাও কিঞ্জলের নাম লেখেননি, তবে তাঁর ইঙ্গিত যে কোন দিকে, তা বুঝে নিতে সমস্যা হয় না।
♓কিঞ্জল বিগত কয়েকদিনে তাঁর একাধিক সিনেমার ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সরকারের সঙ্গে ডু নট ডিস্টার্ব রয়েছ। এখানে তিনি একেবারে নায়ক চরিত্রে। প্রসঙ্গত, হীরালাল ছবি থেকেই তিনি পর্দায় পা রেখেছিলেন। এছাড়াও কিঞ্জলকে দেখা যাবে দেবী চৌধুরানী সিনেমাতে। সঙ্গে আপিস সিনেমাতেও দেখা যাবে তাঁকে। অর্থাৎ, বেশ অনেকগুলো প্রোজেক্ট। যা দেখে প্রশ্ন উঠছে, এইগুলোর শ্যুটিং কবে হল। যখন আরজি কর নির্যাতিতার হয়ে বিচার চেয়ে, ডাক্তারি পরিষেবা বন্ধ রেখে, দীর্ঘ এক থেকে দেড় মাস ধর্মঘট চলছিল, তখন করেননি তো?
🌄তবে এই বিতর্ক নিয়ে এক বিদ্যুতিন মাধ্যমকে কিঞ্জলের স্পষ্ট জবাব, ‘কে কী বলল তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। আমি ব্যাপারটাকে গুরুত্বই দিচ্ছি না। আমি অভিনয় করি কারণ আমার ভালো লাগে। ডাক্তারিতে সুযোগ পাওয়ার আগে থেকে অভিনয় করি, থিয়েটার করি। ইন্ডাস্ট্রিতে আমার কোনো বাবা দাদা নেই। যা করেছি নিজের যোগ্যতায় করেছি। তাই এসব নিয়ে কাওকে উত্তর দিতে হবে মনে করি না।’
🎃‘আমার একটা সমস্যা আছে, আমি অন্যায়কে অন্যায় বলি, অন্যয়কে অন্যায় বলবও। তাই আমাকেই কেন কটাক্ষ করা হচ্ছে, তার উত্তর যারা কটাক্ষ করছে তাঁরাই দিতে পারবে। আমাদের আন্দোলন কোনো দলীয় রাজনীতি বা ভোটের রাজনীতির আন্দোলন নয়। আমরা কেউই নেতা হব, মন্ত্রী হব, আখের গোছাব এসব ভাবিনি। এর বাইরে গিয়ে আন্দোলন করেছি। আমার মনে হয়, যারা এর বাইরে গিয়ে এসব ভাবতে পারে না, তারাই এসব কটাক্ষ করছে। আমাদের দেশে অনেকেই সরকারী জায়গার উপর নির্ভরশীল। আমাদের আন্দোলন ছিল এই পরিসেবা পরিকাঠামো উন্নতি করতে। কেন বেসরকারি হাসপাতালের মতো সুযোগ সুবিধা দেওয়া যাবে না সকারি জায়গায়, কেন মানুষকে ভাবতে হবে, একটা মেডিক্লেম করে রাখতেই হবে আমাকে। এটাই তো ছিল আমাদের আন্দোলন। সঙ্গে আমরা কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ বোধ করছিলাম না। আমাদের মনে হয়েছিল, এই পরিবেশে সঠিক পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম’, আরও বললেন কিঞ্জল।