৯ মে বড় পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল রাজকুমার রাও এবং ওয়মিকা গাব্বি অভিনীত ‘ভুল চুক মাফ’। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে পরিচালক এবং প্রযোজক স্থির করেছেন, বড়পর্দায় দেখানো হবে না এই ছবিটি। আগামী ১৬ মে থেকে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োয় সরাসরি দেখতে পাবেন ‘ভুল চুক মাফ’।
বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে ছবিটির প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন রাজকুমার এবং ওয়ামিকা। এরই মধ্যে গতকাল একটি অনুষ্ঠানে ছবিটি নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হওয়ার পর উঠে আসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রসঙ্গ। প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে অভিনেতা বলেন, ‘আমাদের প্রশাসন যে সিদ্ধান্তই নেবেন না কেন, তাতে আমি পূর্ণ সমর্থন করব। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যা ঘটেছে, অত্যন্ত নিন্দনীয়। একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি সবসময় সরকারের পাশে রয়েছি, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত।’
আরও পড়ুন: মিস ওয়ার্ল্ডের অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত হবেন 'মানবিক' সোনু! কেন?
আরও পড়ুন: 'ইরফান খানের ছেলে হওয়া...', বাবিলের ভিডিয়ো দেখে কেঁদে ভাসালেন প্রতীক বব্বর, কী বললেন?
রাজকুমারের এই মন্তব্যে সমর্থন প্রকাশ করে ওয়ামিকা বলেন', আমাদের সকলের এটাই মনে হয়েছে যে আমাদের সরকার যা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা একেবারে সঠিক। আমরা সকলেই সরকারের পাশে রয়েছি। যাই হয়ে যাক না কেন আমাদের সিদ্ধান্ত বদলাবে না।'
সশস্ত্র বাহিনীর প্রসঙ্গ উঠতেই নিজের জীবনের একটি অধরা স্বপ্ন নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় রাজকুমারকে। কথোপকথন চলাকালীন এক ভক্ত যখন রাজকুমারকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি যদি অভিনেতা না হতেন, তাহলে কি হতেন আপনি?’ উত্তরে রাজকুমার যা বলেন তা সত্যি অপ্রত্যাশিত ছিল সকলের কাছে।
আরও পড়ুন: কণ্ঠস্বর থেকে হাঁটাচলা সবই ছিল ‘মেয়েদের মতো’, নিজেকে কীভাবে পাল্টেছিলেন করণ জোহর?
আরও পড়ুন: ‘দেশ মেরে’ হোক বা ‘মা তুঝে সালাম’, এই ১০ দেশপ্রেমের গান, যা আজও গায়ে দেয় কাঁটা
রাজকুমার নিজের ছোটবেলার স্বপ্নের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘ছোট থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল অভিনেতা হওয়ার। অভিনেতা হওয়ার জন্য যা যা পরিশ্রম করার সব কিছুই করেছি আমি। কখনও ভাবি নি অভিনেতা না হলে কি হতাম আমি। তবে আমাকে যদি অভিনেতার বিকল্পে অন্য কিছু বেছে নিতে বলা হয় তাহলে আমি অবশ্যই সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিতে চাইব। ইউনিফর্ম পরিহিত সৈনিকদের যুদ্ধ করতে দেখে রোমাঞ্চিত হই আমি। এই সুযোগ যদি কোনওদিন পেতাম তাহলে সত্যিই নিজেকে ধন্য মনে হতো।’
প্রসঙ্গত, ‘ভুল চুক মাফ’ একটি কমেডি ভিত্তিক ছবি। বিয়ের আগের দিন মেহেন্দি এবং হলদি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বিয়ের দিন সকালে দেখা যায় আবার ওই একই অনুষ্ঠান হতে। সময় বা তারিখ সবকিছুই যেন হঠাৎ করে থমকে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে কীভাবে নিজেকে বের করে নিয়ে আসবেন রাজকুমার, সেটাই দেখানো হবে ছবিতে।