এখন যুদ্ধ বিরতি চলছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তবে সন্ত্রাসবাদ আর করলে আবার মারা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই আবহে সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবি তুলে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক এমএ বেবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন। তার ✨আগে কংগ্রেসও চিঠি লিখে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। আর এখন সিপিএমের চিঠি পাঠানো বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ইন্ডিয়া জোটে এই দুই দলই আছে। তবে বাকি রাজনৈতিক দলগুলি এখনও কোনও চিঠি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে পাঠাননি।
পহেলগাঁওয়ে যে নির্মম সন্ত্রাসবাদী হামলা করে ২৬ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তার জবাব মিলেছে ‘অপারেশন সি𒐪ঁদুর’ করে। তারপর একাধিক দিন সংঘর্ষ চললেও ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আপাতত সামরিক সংঘর্ষ থামানো হয়েছে। গত শনিবার সংঘর্ষ বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনাক্রমের উল্লেখ করেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বেবি বলেছেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।’ আসলে যুদ্ধ বিরতি কোন সূত্রে? এই প্রশ্নেরই এখন উত্তর জানতে চায় সিপিএম। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর কোন সমীকরণে পাকিস্তানকে ছেড়ে দেওয়া হল সেটা নিয়ে এখন চর্চা চায় সিপিএম।
আরও পড়ুন: কোমরে লোডেড রিভলবার নিয়ে দিঘা হয়ে মন্দারমণিতে পর্যটক, গ্রেফতার করল পুলিশ
সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে রয়েছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি। আর সোমবারই এমএ বেবি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠিতে লিখেছেন, ‘সংঘর্ষবিরতি ঘোষণার পরও বেশ কিছু বিষয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ২২ এপ্রিলের ঘটনার পর দেশজুড়ে মানুষের যে ঐক্য এবং সংহতি লক্ষ্ℱয করা গিয়েছে তা সন্ত্রাসবাদ দমনে আমাদের মূল চালিকা শক্তি। আমাদের দেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে যেভাবে উগ্র ঘৃণা ও ব🌃িদ্বেষ প্রচারের জন্য ভুল তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে তাতে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।’
তাছাড়া ভারত–পাকিস্তান দুই দেশের সংঘর্ষবিরতি নিয়ে ভারত সরকারের কোনও প্রতিনিধির আগে কেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করবেন? এই প্রশ্ন তোলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক। এই বিষয়ে এমএ বেবি বলেন, ‘আমাদের দেশের বিদেশ নীতি হল,ꦜ ভারতের সঙ্গে কারও কোনও বিরোধ লাগলে সেটা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে। কোনও তৃতীয় পক্ষ এই বিষয়ের মধ্যে হস্তক্ষেপ করবেন না। তাই এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ঘোষণা করতে হল সেটা নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানানো প্রয়ജোজন। ভারত সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করা প্রয়োজন।’