১৫ মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে অবশেষে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। এই আবহে এবার মুখ খুলল ভারত সরকার। আজ বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে এই যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউজ থেকে আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হতে চলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কথায়, এই যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের দলের সঙ্গে কাজ করেছে তাঁর প্রশাসন। এদিকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টও। এদিকে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনিও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। জানা গিয়েছে, কাতারের দোহায় দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টার আলোচনার পরে এই যুদ্ধবিরতির জন্যে ইজরায়েল এবং হামাসকে রাজি করানো গিয়েছে। অবশ্য নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, এখনও যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। কিছু বিষয় এখনও চূড়ান্ত হওয়া বাকি আছে। (আরও পড়ুন: ১৫ মাসে মৃত্যু প্রায় ৫০ হাজারের, গাজায় কোন পথে কার্যকর হবে যুদ্ধবিরতি?)
আরও পড়ুন: নির্বাচন ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের সুপারিশ, 'আমেরিকা' হতে চাইছে বাংলাদেশ?
আরও পড়ুন: '৯০ ঘণ্টা কাজ' বিতর্কে এবার আমূল গার্লের খোঁচা লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর CEO-কে!
এই আবহে ভারতের তরফ থেকে ফের একবার আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর ওপর জোর দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। ভারত বলেছে, 'আমরা আশা করি এই যুদ্ধবিরতির ফলে গাজার জনগণ নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদী মানবিক সহায়তা পাবে। আমরা ধারাবাহিকভাবে সকল বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছি।' ভারত প্রাথমিকভাবে হামাসের হামলার পর ইজরায়েলের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছিল। সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে নিজেদের 'জিরো টলারেন্স' নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইজরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছিল ভারত। অবশ্য পরবর্তীতে আরবদের উদ্বেগের কারণে এই ইস্যুতে মধ্যপন্থী অবস্থান গ্রহণ করে দিল্লি। (আরও পড়ুন: সম্পন্ন দুই স্যাটেলাইটের ডকিং, হাল না ছেড়ে মহাকাশে বড় সাফল্য ইসরোর)
আরও পড়ুন: বিদায়ী ভাষণে 'মার্কিন অলিগার্কদের' নিয়ে সতর্ক করলেন বাইডেন, নিশানায় কি মাস্ক?
আরও পড়ুন: প্রস্তাব পেশ তো হল, এবার কি? বাংলাদেশ সংস্কারে কত সময় লাগবে ইউনুসের?
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা ভূখণ্ড থেকে আচমকাই ইজরায়েলে ঢুকে পড়ে হামলা চালিয়েছিল হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী। নির্বিচারে খুন করা হয়েছিল ইজরায়েলের সাধারণ মানুষজনকে। অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বহু ইজরায়েলিকে। এদিকে এই সুযোগে ইজরায়েলের ওপর হামলা চালানো হয় লেবানন থেকেও। অভিযোগ, ইরান সমর্থিত হিজবুল্লা গোষ্ঠী ইজরায়েলের ওপর হামলা চালায় লেবানন থেকে। এই আবহে লেবাননকে পালটা জবাব দিয়েছে ইজরায়য়েলও। এদিকে গাজায় ঢুকে পড়ে হামাসকে তাড়া করেছিল ইজরায়েলি সেনা। এই সবের মাঝেই ইরানও মিসাইল হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে। উল্লেখ্য, ইরানে থাকা হামাস প্রধান শিনওয়ারিকে এর আগে খতম করে ইজরায়েল। সব মিলিয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল গাজা যুদ্ধের আঁচ। এই আবহে ইজরায়েলি হামলায় প্রায় ৪৬ হাজার প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে গত ১৬ মাসে। অন্য দিকে, হামাসের আক্রমণে নিহত প্রায় দু’হাজার ইজরায়েলি।