MAHAKUMBH NAGAR (PRAYAGRAJ) :
রাজীব মল্লিক
ধানবাদের বাসিন্দা ৩৪ বছরের রাহুল হালদারের কাছে মহাকুম্ভ বিশ্বাসের মূর্ত প্রতীক। আর এই শক্তিই তাঁকে প্রয়াগরাজে মৌনি অমা♋বস্যায় (২৯ জানুয়ারি) স্নান করার দিকে টেনে এনেছিল।
২৮ জানুয়ারি ভোরে বারাণসী পৌঁছনোর জন্য ট্রেনের একটি সাধারণ কামরায় ৪২৩ কিলোমিটার ಞভ্রম👍ণ করেন রাহুল এবং তারপরে সেখান থেকে বাসে করে প্রয়াগরাজে পৌঁছান আরও ১৫০ কিলোমিটার।
‘অভিজ্ঞ꧅তা ছিল মিশ্র। সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ধানবাদের বাড়ি থেকে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১১টায় প্রয়াগরাজে আমার হোটেলের ঘরে যাই। নিঃসন্দেহে এটি বেশ ক্লান্তিকর এবং একই সাথে🧸 সন্তোষজনকও ছিল, যখন আমি হোটেলের ঘরে চেক ইন করলাম, ’মেলা অঞ্চলে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে তিনি বলেছিলেন।
'আমার থার্ড এসি টিকিট নিশ্চিত না হওয়ায় আমি একটি সাধারণ ক্লাসের টিকিট কেনার সিদ্ধান্ত নিই এবং গঙ্গা-শতদ্রু এক্সপ💝্রেসে চড়ে ধানবাদ থেকে রাত ৯.৫০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৫.২০ মিনিটে বারাণসীতে নেমে পড়ি। কোচ ভর্তি থাকায় এক ফোঁটা জল খেয়েওಞ উঠিনি, ওয়াশরুমে যাইনি, এই ভয়ে যে উঠলে সিট ফিরে পাব না।
বারাণসীতে তাঁর পরিকল্পনা ছিল প্রয়াগরাজের ট্রেন ধরার। ♛বারাণসী রেল স্টেশনের দৃশ্য ছিল ভয়াবহ। সমস্ত প্ল্যাটফর্ম ভিড়ে ঠাসা। দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। 'সঙ্গম শহরে ট্রেনে ওঠার ভাবনা বাদ দিলাম। স্টেশন থেকে বের হয়ে বাসস্ট্যান্ডে গেলাম। প্রয়াগরাজের ৪০ কিলোম♒িটার আগে একটা বাসে উঠলাম। একটা শাটল বাসে করে প্রয়াগরাজে পৌঁছে গেলাম।
'তারপর আমি একটি অ্যাপের মাধ্🦩যমে একটি দু'চাকার গাড়ি বুক করি যা আমাকে সার্কিট হাউসের কাছে অশোক নগরে আমার হোটেলে নিয়ে যায়। ৬৯ বছর বয়সি বাবা জয়দেব হালদারের সঙ্গে ছাপাখানা চালান রাহুল। তিনি বলেন, 'আমি যখন হোটেলের ঘরে ঢুকি, তখন সকাল সাড়ে ১১টা বেজে গেছে। ধানবাদ থেকে প্রয়াগরাজে পৌঁছাতে দীর্ঘ ১৫ ঘন্টা 🍌সময় লেগেছিল যা মাত্র ৫৫০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার।
'আমি স্বস্তি বোধ করছিলাম যে অবশেষে আমি এখানে এসেছি। এখানেই আমার অগ্নিপরীক্ষার শেষ ছিল না। হোটেলের ঘরে স্নান সেরে সঙ্গম নদীর তীরে মেলা ময়দানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। নদীতে স্নান করা মানবতার সমুদ্র এক ঝলক দেখার জন্য আমাকে প্রাযꦯ় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ হেঁটে যেতে হয়েছিল। এটি দেখার মতো একটি দৃশ্য ছিল। আমার সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে গেল এবং আমি চাঙ্গা বোধ করলাম।
হালদার মৌনি অমাবস্যায় ডুব দেবেন এবং সঙ্গমের দুই বোতল পবিত্র জল এবং তাঁর প্রথম মহাকুম্ভ অভিজ্ঞতার স্মৃতি ভরা একটি ব্যাগ নিয়ে যাবেন এই আশায়💝 যে ফের🤪ার যাত্রা হয়তো একটু ঠিকঠাক হবে।