রবিবার ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ সালে ছিল বছরের প্রথম ‘মন কি বাত’। আর সেই অনুষ্ঠানে মহাকুম্ভের ভূয়সী স্তূতি উঠে আসে প্রধানমন্ত্রীর তরফে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মেগা ইভেন্টটি ‘অবিস্মরণীয় ভিড়’ এবং ‘অকল্পনীয় দৃশ্য’ দ্বারা পরিপূর্ণ সাম্য এবং সম্প্রীতির একটি ‘অসাধারণ’ সঙ্গম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে কুম্ভের উৎসব ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’ উদযাপন করে কারণ এই ঐতিহ্যের কোথাও কোনও বৈষম্য বা জাতিভেদ নেই এবং সমগ্র ভারত ও বিশ্বের মানুষ সঙ্গমে একত্রিত হয়। উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে শুরু হয়ে গিয়েছে মহাকুম্ভ। আর সেখানে দেশ বিদেশ থেকে বহু কোটি মানুষের সমাগম হয়েছে। এসেছেন সাধু সন্ত থেকে সাধারণ মানুষ।
মন কি বাত-এর ১১৮ তম পর্ব এবং এই বছরের প্রথম অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে। অবিস্মরণীয় ভিড়, অকল্পনীয় দৃশ্য এবং সাম্য ও সম্প্রীতির অসাধারণ সঙ্গম... এবারে অনেক ঐশ্বরিক যোগও রয়েছে। কুম্ভের এই উৎসবটি বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা উদযাপন করে। সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গমের তীরে একত্রিত হওয়ার প্রথা হাজার বছর ধরে চলে আসছে, এই প্রথায় কোথাও কোন ভেদাভেদ নেই, সবাই মিলে ভোজন করেন, প্রসাদ খান। এই কারণেই কুম্ভ ঐক্যের মহাকুম্ভ।’
( Yunus to Visit Aynaghar: ‘গা শিউরে ওঠার মতো', আয়নাঘর পরিদর্শনে যাচ্ছেন ইউনুস! কমিশনের তদন্তে এল শিশু গুমের বর্ণনাও)
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মহাকুম্ভের মতোই নর্মদা, গোদাবরী, কৃষ্ণা ও কাবেরী নদীর তীরে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে 'পুষ্করম' আয়োজন করা হয়। মন কি বাত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘কুম্ভের সংগঠন আমাদের বলে যে আমাদের ঐতিহ্য সমগ্র ভারতকে একত্রে আবদ্ধ করে। আস্থ ও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসরণ করার উপায় ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অংশে একই রকম। কুম্ভের আয়োজন করা হয় , উজ্জয়িনী, নাসিক এবং হরিদ্বারে, একইভাবে পুষ্করম আয়োজিত হয় দক্ষিণ ভারতে নর্মদা, গোদাবরী, কৃষ্ণা এবং কাবেরী নদীকে কেন্দ্র করে। আয়োজিত উভয় উৎসবই আমাদের বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের সাথে যুক্ত। আমাদের পবিত্র নদীগুলির মধ্যে, একইভাবে, কুম্ভকোনাম থেকে থিরুকাদাইউর, কুদাভাসল থেকে তিরুচেরাই পর্যন্ত, বেশ কয়েকটি মন্দির কুম্ভের সাথে যুক্ত।’