আয়কর ফাঁকি দিতে রাজনৈতিক দলগুলির 'নাম নিচ্ছেন' সাধারণ করদাতারা। সম্প্রতি এমনই দাবি করা হল এক রিপোর্টে। কর ছাড় পেতে অনেকেই দাবি করে এসেছেন, তাঁরা রাজনৈতিক দল বা কোনও দাতব্য সংস্থায় দান করেছেন। এই সব ক্ষেত্রে অধিকাংশ স্থানেই ভেরিফিকেশনের কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে গত কয়েকবছরে কিছু ক্ষেত্রে আয়কর দফতরের হানা পড়েছে। সেই সব অভিযানেই উঠে এসেছে আসল সত্যিটা। রাজনৈতিক দলগুলিকে দান করার কথা বললেও আসলে কোনও অনুদানই করা হয় না। এই আবহে কর ফাঁকি দেওয়ার এক নয়া ফন্দি এঁটেছেন অনেকেই। এর জন্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অস্বীকৃত রজনৈতিক দলের নাম নেওয়া হয় আয়কর রিটার্ন ফাইলের সময়। (আরও পড়ুন: ২৪-এর পেপার লিক বিতর্কের আবহে একই শ📖িফটে অফলাইন মোডে꧂ হবে ২০২৫-এর NEET UG: NTA)
আরও পড়ুন: তলানি🦂তে ভারতীয় মুদ্রাܫর দাম, এরই মাঝে রুপির ব্যবহার বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত RBI-এর
এই নিয়ে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে একজন আয়কর আধিকারিক সম্প্রতি জানান, রাজনৈতিক অনুদানের ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষের ভেরিফিকেশন হয় না। এই আবহে অনেকেই নিজের সুযোগ নিচ্ছেন। অনেতেই আবার ধরা পড়ছেন। এই আবহে ২০২৪ সালের মধ্যে ৯০ হাজার করদাতা নিজেদের ভুয়ো আয়কর ছাড়ের আবেদন প্রত্যাহার করেছেন। যার সম্মিলিত যোগফল ১০৭০ কোটি টাকা। এর বদলে সেই সব করদাতারা অতিরিক্ত আয়কর দিয়েছেন। তবে আয়কর আধিকারিকদের অনুমান, এই ধরনের ভুয়ো কর ছাড়ের আবেদন জানানো করদাতার সংখ্যা আসলে তিনগুণ। এই আবহে বিভিন্ন সংস্থাকে এই নিয়ে আয়কর দফতর সতর্ক করছে যাতে তাদের কর্মীরা এই অসৎ উপায় অবলম্বন না করেন। এদিকে শুধু রাজনৈতিক দলকে অনুদান নয়, বহু ক্ষেত্রে দাতব্য সংস্থায় অনুদান, শিক্ষা ঋণের নামেও কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আয়কর দফতরের। এই সবই পুরনো আয়কর কাঠামোতে করা হচ্ছিল। (আরও পড়ুন: যাত্রীদের জন্যে সুখবর, যাত্রা সহজ𓂃 করতে ন𝕴য়া পরিষেবা চালু কলকাতা বিমানবন্দরে)
আরও পড়ুন: টক্সিক অফিস, অভিযোগ কর্মীদের, বিতর্কের আবহে মুখ খুললেন ই💞নফোসিস CEO
এদিকে আগামী ফেব্রুয়ারি পেশ হতে চলা বাজেট আয়কর নিয়ে বড় ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আবহে সম্প্রতি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে দাবি করা হয়, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা করদাতাদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বাজেটে। রয়টারℱ্সকে দুই সরকারি কর্মী বলেন, '১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যাদের আয় করা ব্যক্তিদের আয়করে ছাড় দেওয়া হতে পারে।' এর ফলে বিশেষত শহরের মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন। তবে ২০২০ সালে চালু হওয়া নতুন কর কাঠামোর আওতাভুক্ত করদাতাদেরই এই ছাড় দেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, বর্তমান কর কাঠামোয় রিবেটের সুবিধা ধ𒁃রে শর্তসাপেক্ষে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করমুক্ত। যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ১৫ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়✅ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ১ লাখ ৩২ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ১৫ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ৫ হাজার টাকা সেস সহ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা কর দিতে হবে।
এদিকে বর্তমান কর কাঠামোয় যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ২০ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্টি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), 💯৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১১,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ২০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ১৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ১০,৭০০ টাকা সেস সহ ২ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।
অপরদিকে বর্তমান কর কাঠামোয় যদি কোনও ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩০ লাখ টাকা হয়, তাহলে পুরনো আয়কর কাঠামোয় স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন (৫০ হাজার), হাইজ প্রপার্ট꧃ি লস (২ লাখ), ৮০সি (দেড় লাখ), ৮০ডি (৫০ হাজার) বাদ দিয়ে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২৩,১০০ টাকা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেস মোট ৬ লাখ ৬০০ টাকা আয়কর দিতে হবে। আর নতুন আয়কর কাঠামোয় ৩০ লাখ আয় থেকে বাদ যাবে শুধুমাত্র ৭৫ হাজার টাকার স্ট্যান্ড𓃲ার্ড ডিডাকশন। এই আবহে তাঁর করযোগ্য আয় হবে ২৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তাই তাঁকে ২২,৭০০ টাকা সেস সহ ৫ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকা কর দিতে হবে।