আগামী ১৯ জুন দেশের চারটি রাজ্যের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে রয়েছে উপ-নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি কেরলের নীলাম্বুর কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন রয়েছে। এবার কেরলেও ভোটে লড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই উপলক্ষে রবিবার তৃণমূলের তরফে এই কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করা হল। এই কেন্দ্রের প্রাক্তন নির্দল বিধায়ক পিভি আনবরকেই প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ঘাসফুল শিবিরের তরফে একথা ঘোষণা করা হয়। ইতিমধ্যেই আনবর দলীয় প্রতীক পেয়েছেন। এবার তাঁকে প্রার্থী করলেন মমতা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা।
আরও পড়ুন: জোট বেঁধেই উপভোটে লড়াই, কালীগঞ্জে প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের, সমর্থন বামেদের
আনবরকে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করতে পারে বলে আগেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। কারণ তিনি কেরলে তৃণমূল কংগ্রেস আহ্বায়ক পদে আছেন। তিনি যাতে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন, তার জন্য বিধানসভা সচিবালয় থেকে আগেই শংসাপত্র পেয়েছেন। আগামী সোমবার তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
জানা যায়, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় নেতৃত্বের একটি দল কেরলে পৌঁছায়। সেখানে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। এদিন পিভি আনবরের বাসভবনে তৃণমূল নেতাদের বৈঠক হয়। তারপর তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, আনবর আগে বলেছিলেন যে তিনি উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। এই প্রসঙ্গে তিনি তহবিলের অভাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তারপর, শনিবার রাতে রাজ্যের কংগ্রেস বিধায়ক রাহুল মামকুটাথিল আনভরের বাড়িতে যান।
প্রসঙ্গত, এক সময়ে কেরলের এলডিএফ জোট সরকারের অংশ ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক আনবর। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এলডিএফ জোটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি প্রকাশ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এবং তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। পরে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
জানা যায়, ২০১১ সালে এরানাড় বিধানসভা থেকে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন আনবর। তার পর ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু, ভোটে হেরে যান। ২০১৬ সালে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে নিলাম্বুর থেকে ভোটে জয়ী হন। ২০২১ সালেও জয়ী হন তিনি। ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ৪৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন। ফলে উপনির্বাচনে তাঁর জয়ের বিষয়ে আশাবাদী তৃণমূল। তিনি কেরল তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক পদে রয়েছেন।