🐲 আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সব জেলা হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার তৈরি করা হবে। এখন ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশে। তার জেরে চিকিৎসায় বিপুল টাকা খরচ হয়। ওষুধ কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েন রোগীর পরিবারের লোকজন। ওষুধ কিনতে গিয়ে মধ্যবিত্তরা সর্বস্বান্ত হন। তারপরও বহুক্ষেত্রে প্রিয়জনকে বাঁচানো সম্ভব হয় না। আজ শনিবারের কেন্দ্রীয় বাজেটে ক্যানসার–সহ একাধিক মারণরোগের ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ১০০ শতাংশ কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এটা বাজেটে বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: মা ক্যান্টিনের খাবার দেওয়ার সময়ে কি বদল আসছে? সবটা জানিয়ে দিলেন মেয়র
💝এদিকে এই সিদ্ধান্তের ফলে কমতে চলেছে বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধের দাম। ৩৬টি ক্যানসারের ওষুধে শুল্ক প্রত্যাহার করল কেন্দ্রীয় সরকার। বেশ কয়েকটি জীবনদায়ী রোগের ওষুধে প্রত্যাহার করা হল শুল্ক। শনিবার বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সব জেলার হাসপাতালে ক্যানসার সেন্টার তৈরি করা হবে। সারা দেশে মোট ২০০টি ক্যানসার নিরাময় কেন্দ্র তৈরি করা হবে। এই উদ্যোগের লক্ষ্য দেশজুড়ে রোগীদের জন্য ক্যানসার চিকিৎসা এবং সহায়তার সুযোগ বৃদ্ধি করা, স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবধান পূরণ করা। তাই আগামী তিন বছরে ২০০টি ‘ডে কেয়ার ক্যানসার সেন্টার’ নির্মিত হবে।’
আরও পড়ুন: ১২ লাখ পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও আয়কর, কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা নির্মলার
ꦗঅন্যদিকে দেশে চিকিৎসকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১০ হাজার আসন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যাতে করে আরও বেশি পড়ুয়া মেডিক্যাল পড়তে পারেন। আগামী পাঁচ বছরে মেডিক্যালে ৭৫ হাজার আসনবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর ৬টি জীবনদায়ী ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এদিনের বাজেটে ওষুধে ১০০ শতাংশ কর ছাড়ে কমবে ওষুধের দাম। গত তিন বছরে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১ লক্ষের বেশি আসন বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী বছরে সেটা আরও ১৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১০ হাজার আসন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এছাড়া সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি কর্মীকে স্বাস্থ্য এবং বিমার আওতায় আনা হবে। নির্মলা সীতারমণ আজ বাজেটে ‘চিকিৎসা পর্যটনে’র উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন। সেক্ষেত্রে পিপিপি মডেলে কাজ হবে বলে জানান তিনি। তবে বারবার অভিযোগ ওঠে দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগী এবং চিকিৎসকের সংখ্যার অনুপাত অনেক কম। তাই চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। শনিবার বাজেট পেশের সময়ে নির্মলা সীতারামন বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার উপর জোর দেন। এই কেন্দ্রগুলি প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্য যাতে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের সময়মত চিকিৎসা করা যায়। তাঁর বক্তব্য,♒ ‘যাঁরা ক্যানসার, দীর্ঘস্থায়ী বা অন্যান্য গুরুতর রোগে ভুগছেন, আমি ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধকে মৌলিক শুল্ক অব্যাহতিপ্রাপ্ত ওষুধের তালিকায় যুক্ত করার প্রস্তাব করছি।’