বিয়ের পরামর্শ চাইতে গিয়ে বড় বিপদে পড়লেন যুবতী। ভুয়ো জ্যোতিষীর ফাঁদে পড়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা হারিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি, বেঙ্গালুরুতে ঘটে গিয়েছে ঘটনাটি। এক প্রতিবেদন অনুসারে, যুবতীর ইনস্টাগ্রামে যোগাযোগ হয়েছিল ওই জ্যোতিষীর সঙ্গে। নিজের বিবাহের বিষয়ে পরামর্শ চাইছিলেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে জ্যোতিষশাস্ত্রীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং পুজোর নামে তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
ঠিক কী ঘটেছে
বেঙ্গালুরুর ২৪ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে এমনটাই ঘটে গিয়েছে। ইলেকট্রনিক্স সিটির বাসিন্দা তিনি, একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন। এ ঘটনায় তিনি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই যুবতীর দাবি, ৫ জানুয়ারি, তিনি একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল খুঁজে পান, যেখানে একজন অঘোরি বাবার ছবি ছিল এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে তাঁর দক্ষতার দাবি করা হয়েছিল। তিনি তখন নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে, সেই অ্যাকাউন্টে মেসেজ পাঠান এবং একজন ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপরেই শুরু হয় প্রতারণার খেল।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে নাম এবং জন্ম তারিখ শেয়ার করার পর, ওই ব্যক্তি মহিলাকে বলেন যে তাঁর প্রেম করে বিয়ে হবে কিন্তু তাঁর রাশিফলের কিছু জ্যোতিষশাস্ত্রীয় সমস্যা রয়েছে। তারপর কুমার একটি বিশেষ পুজো করে এই সমস্যাগুলি সমাধানের প্রস্তাব দেন এবং বিনিময়ে কিছু পারিশ্রমিক চেয়ে বসেন। প্রথম পেমেন্ট ছিল ১,৮২০ টাকা। যদিও পরিমাণটি খুব কম মনে হয়েছিল, মহিলা কোনও দ্বিধা ছাড়াই রাজি হয়ে যান এবং একটি ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট স্থানান্তর করেন।
যাইহোক, এটি ছিল একের পর এক দাবির সূচনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, প্রতারক মহিলাকে বলতে লাগলেন যে তাঁর সুস্থতা এবং ভবিষ্যতের বিবাহিত জীবনের জন্য আরও পুজো প্রয়োজন। প্রতিবারই, অতিরিক্ত টাকা চাইতে থাকেন। মেয়েটি যখন বুঝতে পারেন যে তিনি ক্রমশ প্রতারিত হচ্ছেন। আর ততক্ষণে তিনি প্রতারককে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: (Instagram Dislike Button: কন্টেন্ট পছন্দ না হলে ডিসলাইকও করতে পারবেন ইনস্টাগ্রামে- Report)
মহিলা যখন তাঁর টাকা ফেরত চান, তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। কুমার ১৩,০০০ টাকা ফেরত দিলেও তাঁকে সতর্ক করে দেন যে, যদি তিনি বাকি টাকা চাওয়া অব্যাহত রাখেন, তাহলে তিনি আত্মহত্যা করবেন এবং নিজের সুইসাইড নোটে তাঁর নাম লিখবেন। এর পরে, মহিলাটির কাছে একজনের কাছ থেকে ফোন আসে। যিনি নিজেকে একজন আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি তাঁকে হুমকি দিয়ে জানান যে টাকা ফেরতের চাপের কারণে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যার পথে গিয়েছিযেন, যা নতুন ঝামেলা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।