শান্তিপুরের রাসের মেলা জগত বিখ্যাত। দুর্গা পুজো কালী পুজোর পর এবার বাঙালি মেতে উঠেছে রাসের উৎসবে। আজ রাস পূর্ণিমা, একসময় শಞান্তিপুরে বৈষ্ণবদের হাত ✤ধরেই শুরু হয়েছিল রাসের উৎসব।
পুরান অনুসারে শান্তিপুরে রাসের প্রথম সূচনা করেছিলেন অদ্বৈতাচার্য। বলা হয়ে থাকে তিনি ছিলেন নাকি শিবের অবতার। এই নিয়ে এক কাহিনি ও প্রচলিত আছে।&nbs𝄹p;শিবের মনে নাকি রাস নিয়ে কৌতুহল ছিল, তিনি রাসে অংশ নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু রাসে কৃষ্ণ ছাড়া অন্য কোনও পুরুষের প্রবেশ নিষেধ ছিল তাই তিনি ছদ্মবেশে রাসে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু কৃষ্ণ তা বুঝতে পেরে যান এবং রাসের প্রাঙ্গণ উৎসব প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। সখিরা তখন সমস্যায় পড়ে গেছিল যে রাস হবে কী করে তখন তারা শ্রীরাধাকে দোলায় চাপিয়ে নগর পরিভ্রমন করেছিলেন আর সেই দিনের জন্য রাই হয়েছিলেন রাজা। শিবের রাস দেখা হয়নি তাই তিনি ঠিক করেছিলেন যে মর্ত্যবাসীর সামনে একদিন এই রাসকে আনবেন যেহেতু তিনি দ্বাপরের রাস ভেঙেছিলেন তাই অদ্বৈতাচার্য রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন রাসের সূচনা করতে।
অন্যদিকে ইতিহাস অনুসারে বারো ভুঁইয়ার এক ভুঁইয়া ছিলেন প্রতাপাদিত্য। তিনি রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মের🅘 আমলে পূজিত গোবিন্দের বিগ্রহ যশোর থেকে নিয়ে এসেছিলেন। পরে বাংলা আক্রমণ করা হলে তিনি বারো ভুঁইয়াদের গুরু অদ্বৈতাচার্যর পৌত্র মধুরেশ গোস্বামীর হাতে এই বিগ্রহ দেন এবং এই বিগ্রহকেই পরে শান্তিপুরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কিন্তু মধুরেশ গোস্বামীর মৃত্যুর পর এই মূর্তি চুরি হয়ে যায়। পরে শোনা যায় কোনও এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশ পান এবং একটি ব🐭িল হতে সেই মূর্তি উদ্ধার করা হয়। পরে এই মূর্তি উদ্ধারের পর রাধা🍨রানী কে এখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
রাসের দিন রাধারানীর মিলন ঘটে, রাস যেমন রাধা কৃষ্ণের মিলন প্রাঙ্গণ তেমনি সব ধর্ম বর্ণ মানুষের মিলন প্রাঙ্গণ। রাসের জন্য বিভিন্ন মানুষ๊ শান্তিপুরে ছুটে আসেন।
শান্তিপুরের রাসের অন্যতম আকর্ষণ হল রাই রাজা তার জন্য ১২ বছরের নিচে ব্রাহ্মণ বাড়ির কোনও কন্যাকে নির্বাচিত করা হয় আগের দিন নিরামিষ খাওয়ানো হয় এবং যথাযথ নিয়ম মেনে তাকে সাজিয়ে বিগ্রহের সামনে বসানো হয়। বর্তমানে এ☂ই রাসের উৎসব এক মহোৎসবে পরিণত হয়েছে। এখানে বিগ্রহকে নিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। সঙ্গে ফুলের সাজে সাজানো হয় এবং গয়না দিয়ে বেনারসি পরিয়ে রাই রাজাকে সজ্জিত করা হয়। তারপর হয় নগর পরিক্রমা। যা আজ শান্তিপুরের রাশের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।