১৪ জুন জৈষ্ঠ পূর্ণিমায় 🥀দুপুর ১.৪০ মিনিট থেকে শুরু হচ্ছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রার তিথি। উল্লেখ্য, পুরীর মন্দিরে এই যাত্রা ঘিরে রয়েছে ব্যাপক হইচই। জগন্নাথদেব, ভাই বলভদ্র, বোন শুভদ্রাকে এদিন বিশেষ বেদীতে বসিয়ে করানো হয় স্নান। ঐতিহ্যবাহী পুরীর মন্দিরের এই স্নানযাত্রা একাধিক পরম্পরা মেনে সম্পন্ন হয়। নামে ভক্তের ঢল। কীভাবে এই রীতি পালিত হয় দেখে নেওয়া যাক।
স্নানযাত্রার কাহিনি
স্কন্দ পূরাণ মতে, রাজা ইন্দ্রদ্যুন্ম কাঠ দিয়ে নির্মাণ করিয়েছিলেন জগন্নাথদেব, দেবী শুভদ্রা ও বলভদ্র দেবের মূর্তি। সেই মূর্তি গড়ার নেপথ্যেও রয়েছএ কাহিনি। ♔তবে আজ দেখা যাক, স্নান যাত্রা ঘিরে কিছু🦩 তথ্য। নিয়ম মেনে সেই সময় থেকে একটি বেদীতে এই স্নান পর্ব সম্পন্ন হয় পুরীতে। স্নানযাত্রাকে জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি হিসাবে ধরা হয়।
ভক্তদের দর্শন ও ১৫ দিন
স্নানযাꦏত্রার দিনে জগন্নাথদেবকে মন্দির থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেদীর দিকে। নিয়ে যাওয়া হয় সুভদ্রা দেবী ও বলভদ্রদেবকেও। এরপর বিশেষ বেদীতে স্নানের পর তাঁদের স্নান হবে। বিশ্বাস যে, এই স্নানের পর তাঁদের জ্বর আস꧟ে। যার ফলে ১৫ দিন তাঁরা মন্দিরের ভিতর থাকেন। দর্শন দেননা কোনও ভক্তকে। ১৫ দিন পর ভক্তরা দর্শন পান দেবতাদের।
১০৮ ঘড়া জল ও স্নান পর্ব
স্নানযাত্রার বিশেষ দিনে ১০৮ টি ঘড়ার জল দিয়ে জগন্নাথ দেব, সুভদ্রা ও বলভদ্রদেবকে স্নান করানো হয়। এই জলে থাকে সুগন্ধী নানান সামগ্র🐻ী। সেই জলই একমাত্র ব্যবহার করে তলে স্নানপত্র।
নেত্র খোলার দিবস
মনে করা হয় জ্বর সারিয়ে একটি নি๊র্দিষ্ট দিনে সুস্থ হয়ে নেত্র উন্মিলিত করেন জগন্নাথদেব। তারপর তিনি দর্শন দেন। আর এই বছর তিথি মতে তিনি নে🎃ত্র উন্মিলিত করবেন ৩০ জুলাই। তারপরদিন ১ জুলাই রয়েছে রথযাত্রা।