রাজনীতিতে সবই যেন সম্ভব! তাই তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের জামিন করতে দেখা যায় বিজেপির আইনজীবীকে। এমনই ঘটনা ঘটেছে হুগলি জেলার কোন্নগর এলাকায়। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনের আগের দিন বিজেপি নেত্রীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগ উঠেছিল স্বয়ং কোন্নগর তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী হন। এখন শপথের পালা। এক্ষেত্রে যাতে অসুবিধা না হয় তাই তিনি আগাম জামিন নেন আদালত থেকে। আর এই জামিন করিয়েছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী রঘুনাথ অধিকারী। তিনি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ–সভাপতি।ঠিক তার পরে কী হল? এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি চরমে ওঠে। নীচুতলার নেতারা জেলা সংগঠনের নেতৃত্বকে নালিশ ঠোকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই আইনজীবী–নেতাকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোন্ননগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন কৃষ্ণা ভট্টাচার্য। আর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন তন্ময় দেব। এই তন্ময়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি প্রার্থীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার। তাঁরই জামিন করিয়েছেন বিজেপি নেতা। ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী? এই শোকজ নিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আমি পেশা ও রাজনৈতিক আদর্শকে কখনও এক জায়গায় বসাই না। তাই আমি যা করেছি তাতে কোনও ভুল খুঁজে পাচ্ছি না।’ আর ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, একজন আইনজীবী একজন ডাক্তারের মতোই। রোগী কোন দলের সমর্থক তা দেখে যেমন কোনও ডাক্তার চিকিৎসা করেন না। তেমনই একজন আইনজীবী নিজের কাজে রাজনীতির রং লাগাতে পারেন না।উল্লেখ্য, কোন্নগর পুরসভায় শপথ অনুষ্ঠানে যাতে তন্ময় দেবকে আইনি জটিলতায় পড়তে না হয় তার জন্যই তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই আগাম জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী তথা শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ–সভাপতি রঘুনাথ অধিকারী। এই নিয়েই এখন সরগরম হযে উঠেছে।