মঙ্গলবারের পর রবিবার। মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে ফের একবার নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে! তবে, এদিন একটি নয়, উদ্ধার হয়েছে দম্পতির জোড়া মৃতদেহ। ঘটনাস্থল ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকার কালীতলা।প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার হয় স্থানীয় এক সবজি বিক্রেতা ও তাঁর স্ত্রীর দেহ। ওই সবজি বিক্রেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। অন্যদিকে, তাঁর স্ত্রী দেহ উদ্ধার হয়েছে ওই ঘরেই শাড়ির ফাঁসে ঝুলন্ত এবং বিবস্ত্র অবস্থায়!বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, শনিবার রাতেও সবকিছু ঠিকঠাক ছিল। ওই দম্পতি রোজের মতোই রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের ঘরে ঘুমোতে গিয়েছিল।এমনকী, মৃত মহিলা রাতে তাঁর মেয়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গল্প করেছিলেন বলেও শোনা যাচ্ছে। মা ও মেয়ের কথা হয়েছিল ভিডিয়ো কলে। তখনও কারও চোখে সন্দেহজনক কিছু পড়েনি।গোল বাধে রবিবার সকালে। ওই দম্পতির ছেলে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তাঁর বাবা-মা তখনও ঘুম থেকে ওঠেননি! তখনই বাবা-মায়ের ঘরের দরজায় টোকা মারেন ছেলে। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলে যায়।দম্পতির ছেলে দেখেন, তাঁর বাবা-মায়ের ঘরের দরজার ভিতরের ছিটকিনি ভাঙা! তার থেকেও বড় কথা, তাঁর বাবা পড়ে রয়েছেন খাটের উপর। নিথর অবস্থায়। তাঁর সারা শরীর কোপানো। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর!অন্যদিকে, কিছু তফাতে তাঁর মায়ের প্রায় বিবস্ত্র শরীর ঝুলছে। এই অবস্থা দেখেই ভয় পেয়ে যান দম্পতির ছেলে। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর যায় স্থানীয় থানায়।পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে দেয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটারি বা কুড়ুল জাতীয় ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেটাই খুনের অস্ত্র কিনা, তা স্পষ্ট নয় যদিও।তবে, এমন ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজন অতি সাধারণ সবজি বিক্রেতা ও তাঁর স্ত্রীকে ঘরে ঢুকে এভাবে কে বা কারা, কেন খুন করল, তা কারও মাথায় ঢুকছে না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি পাড়া-পড়শিদের সঙ্গেও কথা বলছে তারা।প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই ভাঙড়ে একটি নৃশংস খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেদিনের ঘটনাস্থল ছিল ভাঙড় থানা এলাকার শাকশহর বাজার। সেখানে এক ব্যক্তির গলা ও গোপনাঙ্গ কেটে খুনের অভিযোগ উঠেছিল।সেই ভয়াবহ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও সটান গৃহস্থের অন্দরে জোড়া খুনের অভিযোগ ওঠায় ত্রস্ত এলাকাবাসী।