যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিংয়ের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। র্যাগিংয়ের প্রতিবাদে বহু আন্দোলন বিক্ষোভ হয়েছে তারপরেও টনক নড়েনি। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ফের র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল। এবার একটি স্কুলের হস্টেলে এই অভিযোগ উঠেছে। রায়গঞ্জের ডালখোলার একটি স্কুলের হস্টেলে দশম শ্রেণির ছাত্রী অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র্যাগিং করেছে বলে অভিযোগ। সিনিয়রদের নির্দেশমতো এঁটো থালা ধুয়ে দেওয়ার পরেও ওই ছাত্রকে তারা মারধর করে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ভয়ে হস্টেল🌌 ছেড়ে দিয়ে এখন বাড়িতেই থাকছে ওই কিশোর। কার্যত সে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে। এই অভিযোগ উঠেছে উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলার তিস্তা কলোনির জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের হস্টেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতജিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: কীভাবে শক্তি বাড়াবে যাদবপুরের অ্যান্টি র্𝐆যাগিং কমিটি, এখনও নেই কোꦜনও সদুত্তর
জানা গিয়েছে, ওই কিশোরের বাড়ি ইটাহারের দুর্গাপুর এলাকায়। ছাত্রের সারা শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে ডালখোলার হস্টেলে গিয়েছিল ওই কিশোর। এরপর রাতেই হস্টেলে খাওয়া দাওয়া শেষ হলে দ🔥শম শ্রেণির তিন ছাত্র তাকে এঁটো থালা ধুয়ে দিতে বলে। প্রথমে ছাত্রটি তাদের আপত্তি জানালেও পরে অবশ্য ভয়ে তাদের এঁটো থালা ধুয়ে দেয় ওই কিশোর। কিন্তু তারপরও তিন ছাত্র তাকে প্রচন্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। তার পিঠে, মুখে এবং পেটে আঘাত করা হয়েছে। এমনকী তারা হুমকি দেয়,বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে খুন করা হবে। যদিও ওই ছাত্র এই ঘটনার অভিযোগ হস্টেল সুপারকে জানিয়েছে।
এদিকে, বাড়িত🌟ে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানায় ওই ছাত্র। ছেলেটির বাবা ঈশ্বরচন্দ্র পাল পেশায় একজন দিনমজুর। ছেলের ফোন পাওয়ার পরেই ভোরে ডালখোলা পৌঁছে ছেলেকে বাড়ি নিয়ে গিয়ে তিনি চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। তবে কিশোরের বাবার আক্ষেপ, ঘটনার পরে স্ক💙ুল কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ একবার তার ছেলের খোঁজ নেয়নি। এই অবস্থায় ছেলেকে আর হোস্টেলে রাখতে সাহস পাচ্ছেন না ঈশ্বরবাবু। যদিও এই ঘটনাএ পরেই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অভিযোগ পাওয়ার পরের দিনই ওই তিন ছাত্রকে বরখাস্ত করেন। তাছাড়া অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৪ সদস্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও ছাত্রদের স্কুলে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।