ভোট প্রচারে গিয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের কনভয় আটকে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি প্রার্থী আহত হয়েছেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে তৃ💦ণমূল এই হামলা চালিয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল দাবি করেছেন, সৌমিত্র নিজেই বিজেপি কর্মীদের মার খাইয়েছেন ফুটেজ পাওয়ার জন্য। এই ঘটনায় পাত্রসায়ের থানায় গিয়ে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন সৌমিত্র খাঁ।
আরও পড়ুন: সৌজন্য𒐪ের নজিরে প্রচ𓃲ারে বেরিয়ে তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন সৌমিত্র!
বিজেপির অভিযোগ, গতকাল পাত্রসায়ের থানার বেলুট গ্রামে বিজেপির ভোট প্রচার এবং দলীয় একটি কর্মসূচির কথা ছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য সৌমিত্র খাঁ এবং সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি যাচ্ছিলেন। সেই সময় বেলুট গ্রামে ঢুকতেই রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা অঞ্চল সভাপতি তাপস বারি অন্যান্য কর্মীদের দিয়ে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁয়ের গাড়ি ও কনভয় আটকে হামলা চালান। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। বিজেপির অভিযোগ, সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি কনভেনার তওাপস মিত্র সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এর পরেই সেখানে পুলিশ কর্মীদের দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের এবং আহত♛দের সঙ্গে নিয়ে সোꦛজা পাত্রসায়ের থানায় গিয়ে হাজির হন সৌমিত্র খাঁ। থানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারকে সমস্ত ঘটনা তিনি মৌখিকভাবে জানান।
অন্যদিকে, পালটা তৃণমূলের অভিযোগ, রসুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি তথা প্রাক্তন প্রধানকেই মারধর করেছে বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল আবার দাবি করেন, সৌমিত্র নিজেই দুষ্কৃতীদের সাহায্যে নিজের দলের কর্মীদের মার খাইয়েছেন। এটা দেখিয়ে তিনি সহানুভূতি পেতে চায়ছেন। সুজাতা মণ্ডল আরও বলেন, ‘বিজেপি কর্মীরা আপনারা সাবধান হন আপনারা যার জন্য ঘুরছেন তিনি নিজের স্বার্থে নিজের দলের লোকদেরকেই মার খাইয়ে দেবেন। ওনাকে বিশ্বাস করবেন না ভরসা করবেন না।’ তৃণমূ💙ল প্রার্থীর বক্তব্য, পুলিশ🅺ের উচিত ওঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া।