রাস্তা তৈরি নিয়ে শ𝓰ুরু হয়েছে বিতর্ক। রাস্তা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে রেখা রয়েছে সাইনবোর্ডে। অথচ যে রাস্তায় সাইনবোর্ড দেওয়া হয়েছে সেটি অন্য রাস্তা। এমন ঘটনায় সরকারি অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি শিলিগুড়ি ফুলবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি না হওয়ার আগেই ঠিকাদারদের পারিশ্রমিক মিটিয়ে দেওয়া হয়🎀েছে। তারপরে সরকারি কাজের বিবরণ হোর্ডিংয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটি নির্দিষ্ট জায়গায় না লাগিয়ে অন্যত্র দেওয়া হয়েছে ।
কীভাবে এই কাজ সম্ভব তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, রাস্তা তৈরি না হওয়ার আগেই কীভাবে হোর্ডিং লাগানো হল? তাও আবার এক রাস্তার হোর্ডিং অন্য রাস্তায় কেন লাগানো হল? সে ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকার বাসিন্দা দিবাকর বণিকের বাড়ি থেকে অরুণ মাঝির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা এবং নালা তৈরির কথা ছিল। এ জন্য প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে শুধু নিকাশি নালার কাজ ছাড়া অন্য কোনও কাজ হয়নি। অথচ হোর্ডিংয়ে দাবি করা হয়েছে, সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফলে অনুমোদিত কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছে স্থানীয়দের। যে রাস্তা তৈরির জন্য হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে সেই রাস্তার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র একটি ড্রেন তৈরি হয়েছিল। আর যে রাস্তা তৈরির কথা জানানো হয়েছে সেটি অন্য জায়গায় তৈরি হয়েছে। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না প্রশাসনের লোকেরা। স্থানীয়দের তারা জানাচ্ছেন দ্রুত রাস্তা হবে। তবে কবে হবে তারা তারা কেউ বলছেন না। এই অবস্থায় রাস্তা সম্পূর্ণ না হলে বর্ষাকালে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ♌্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
যদিও তৃণমূলের পঞ্চাꦇয়েত সদস্য সবিতা দাশগুপ্তের দাবি, ‘রাস্তা তৈরি করে গরিবদের বাঁচানো হচ্ছে।’ তবে বোর্ডে বোর্ডে সেরকম কিছু লেখা নে♌ই বলেই তিনি দাবি করেছেন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান নমিতা করাতি বলেন, ‘যে রাস্তার টেন্ডার হয়েছিল, সেই রাস্তার দায়িত্বে আছে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। আমরা অন্য একটি রাস্তা তৈরি করেছি। এতে ভুলের কিছু নেই।’