করোনা প্রতিরোধে কড়া বিধির জেরে ঘরবন্দি অনেকেই। এবার সেই সুযোগে বনগাঁয় আড়ালে আবডালে চলছে একেবারে মাদকের হোম ডেলিভারি। অভিযোগ এমনটাই। একেবারে নিখুঁত নেটওয়ার্ক। নির্দিষ্ট ফোন নম্বরের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে যোগাযোগ। এরপর ঘুরপথে নিষিদ্ধ মাদক পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতার দোরগোড়ায়। এমনটাই ভয়াবহ অভিযোগ। কিন্তু এসব অভিযোগ যখন সংবাদমাধ্যমের কাছে আসছে, তখন পুলিশ কী কিছুই জানে না। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ সব জানে। এনিয়ে কথা উঠলে কদিন একটু তৎপর হয় পুলিশ। এরপর ফের শুরু হয় কারবার। তবে বনগাঁর পুলিশ সুপার তরুণ হালদার বলেন, ‘হেরোইনের কারবারী ও নেশাসক্তদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হয়। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে।’তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, হেরোইনের গোপন কারবার নতুন করে মাথাচাড়া দিচ্ছে এলাকায়। সম্প্রতি বনগাঁর মতিগঞ্জ এলাকায় হেরোইনের পুরিয়া বেচতে আসার অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে পাকড়াও করেছিলেন বাসিন্দারা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মাদকের কারবারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠতে শুরু করেছে। তবে সবটাই যে হতাশার এমনটা নয়। অনেকেই মাদকের অন্ধকার গলি থেকে বেরিয়ে এসে নতুন জীবনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন। ফিরে এসেছেন সুস্থ, স্বাভাবিক জীবনে। মাদক বিরোধী নানা প্রচারে অংশ নিচ্ছেন তাঁরা। নিজেদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে মাদকাসক্তদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।