পুকুর কাটতে গিয়ে উদ্ধার হল ভগবান বিষ্ণুর প্রাচীন মূর্তি। মূর্তিটির ওজন প্রায় ৮০ কেজি এবং মূর্তিটি ৩ ফুট লম্বা। এই মূর্তি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় হইচই পড়ে যায়। পূর্ব বর্ধমানের কালনা ২ নম্বর ব্লকের চা গ্রাম থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারের পর মূর্তিটিকে মন্দিরে রেখে পুজো করেন গ্রামের বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে দক্ষিণপাড়ায় পুরনো একটি পুকুরে মাটি কাটার কাজ চলছিল। প্রায় ৫ ফুট মাটি কাটা হয়ে গিয়েছিল। পুকুর থেকে কাটামাটি পাঠানো হচ্ছিল পাঁচপাড়া এলাকার হরিনাথতলায়। সেখানে ট্রাক্টরে করে মাটি ফেলার সময় ৮০ কেজি ওজনের ওই বিষ্ণু মূর্তিটি বেরিয🅺়ে আসে। মূর্তিটি দেখতে ভিড় জমান আশেপাশের বহু গ্রামের মানুষ। হরিনাথতলার বাসিন্দারা কাদামাখা মূর্তিটি ধুয়ে মন্দিরে রেখে পুজো শুরু করেন।
যদিও মূর্তি উদ্ধার হওয়ার🌃 পরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বেঁধেছে। গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন মূর্তিটি𓄧 তাদের গ্রামে ফিরিয়ে আনতে। তাদের বক্তব্য, মূর্তিটি যেহেতু তাদের গ্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছে তাই ওই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তারা নিজেদের গ্রামে ফিরিয়ে🍒 আনবেন। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা জানান মূর্তিটি রাখার জন্য আলাদা মন্দির তৈরি কথা ভাবা হচ্ছে।যদিও মূর্তিটি কতটা পুরনো তা আঁচ করতে পারছেন না গ্রামের বাসিন্দারা।
ইতিহাসবিদদের কথায় মূর্তিটি দশম থেকে একাদশ শতকের পুরনো। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন কিউরেটর রঙ্গন কান্তি জানা বলেন, মূর্তিটি দেখে মনে হচ্ছে একাদশ বা দ্বাদশ শতকের দিকে তৈরি। তবে মূর্তি সম্পর্কে আরও অনেক তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে। প্রসঙ্গত, একাদশ শতকে সেন যুগ ছিল। ওই সময় এই ধরনের মূর্তির পুজো করা হতো। এর আগে বর্তমানে এই ধরনের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। ফলে এই মূর্তিটি সেন যুগে তৈ🦄রি হয়েছিল বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদদের একাংশ। মূর্তি উদ্ধার হওয়ার পরে জেলা প্রশাসনকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে।