কালীপুজোর আগের রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগরে কালীমূর্তি ভাঙচুরের ঘটনায় প্রতিমাশিল্পীকেই গ্রেফতার করল 🃏পুলিশ। ঘটনায় পুলিশের দাবি, মূর্তি বিক্রি না হওয়ায় ক্ষোভে মত্ত অবস্থায় মূর্তিগুলি ভাঙচুর করেছেন প্রতিমাশিল্পী প্রভাত সর্দার নিজেই। এর পর তার ছবি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন। যাকে হাতিয়ার করে সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করতে শুরু করে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ডায়মন্ড হারবারারের এসপি বলেন, ‘ঘটনার পর তদন্তে নেমে আমরা মৃৎশিল্পীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করি। জেরায় তিꦦনি স্বীকার করেছেন ২৩ অক্টোবর রাতে তিনি নিজেই মূর্তিগুলি ভেঙেছেন। যারা ওই মূর্তির বরাত দিয়েছিলেন তাদের মূর্তিগুলি পছন্দ হয়নি। সেই রাগে মূূর্তি ভাঙচুর করেন তিনি। এর পর সকালে উঠে মূর্তি ভাঙচুর হয়েছে বলে খবর চাউর করে ঘটনাক্রম অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা করেন।’
'ইন্দোনেশিয়ায় তো ৮৫% মুসলিম..', ভারতীয় নোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবির দাবি কেজরির
বলে রাখি, কালীপুজোর সকালে রামনগর থানা এলাকার নুরপুরের মুকুন্দপুর মোড়ে মৃৎশি꧂ল্পী প্রভাত সরদারের শিল্পালয় থেকে ৪টি ভাঙা কালীমূর্তি উদ্ধার হয়। প্রভাতবাবু দাবি করেন, রাতের অন্ধকারে শিল্পালয়ে ঢুকে কেউ বা কারা কালীমূর্তিগুলি ভাঙচুর করেছে।
মঙ্গলবার রাতে জেরার মুখ𒈔ে প্রভাত সরদার ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলে তাঁকে ও তাঁর ২ সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। এর পর তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনা স্থানীয়দের সামনে স্বীকার করানো হয়।