লোকসভা ভোট পরব♛র্তী হিংসার শিকার হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি পার্টি অফিসগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন দলের কয়েক হাজার কর্মী। কিন্তু সেই পার্টি অফিসও কি তৃণমূলের থেকে সুরক্ষিত? শনিবার রাতে কামারহাটিতে বৈঠক চলাকালীন বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলি পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের মোটর সাইকেল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তবে তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রাইয়ের দাবি, তাঁর ওপরেই হামলা চালিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন - বেলঘরিয়ায় ব্যবসায়ীর গাড়ি ল꧑ক্ষ্য করে গুলির ঘটনায় বিহার থেকে গ্রেফতার ৩
পড়তে থাকুন - কলকাতায় ফের মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু, ৩🦋 জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ
বিজেপির উত্তর কলকাতা শহরতলি জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ꧑লোকসভা ভোটের ফল মূল্যায়ণ করা হচ্ছিল। যে সব জায়গায় আমাদের ফল অপেক্ষাকৃত খারাপ হয়েছে সেখানকার বুথ সভাপতিদের কাছে সমস্যা জানতে চাইছিলাম। হঠাৎ শুনি বাইরে প্রচণ্ড হট্টগোল হচ্ছে। দেখি ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাই তার কয়েকটা পোষা গুন্ডা নিয়ে𓄧 এসে আমাদের দফতরের সামনে রাখা দলীয় কর্মীদের মোটর সাইকেলগুলি ভাঙচুর করছে। ওরা সবাই মত্ত অবস্থায় ছিল। আমরা প্রশ্ন করলে নির্মলা রাই বলেন, এত রাতে মিটিং কীসের? আর মিটিং করতে হলে আমাকে জানাতে হবে। এই বলে উনি ওনার স্করপিও গাড়ি আমাদের পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। ওনার গাড়ির ধাক্কায় পার্টি অফিসের গেট ভেঙে গিয়েছে। দফতরের সামনে রাখা নেতাদের কাটআউট ছিঁড়ে গিয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে নির্মলা রাই দাবি করেছেন, ‘শনিবার রাতে দলীয় কাজ সেরে আমি বাড়ি ফিরছিলাম। তখন দেখি বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে প্রচুর গাড়ি ও মোটরসাইকেল দাঁড় করানো। যার জেরে সাধারণ মানুষের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। আমি সেকথা বিজেপি নেতাদের জানাতে ওরা আমার ওপর হামলা চ𒐪ালায়। আমার গাড়ি ভাঙচুর করার চেষ্টা করে। প্রায় ২০০ বিজেপি কর্মী আমাকে তাড়া করে। যার জেরে আমি আঘা𒁃ত পেয়েছি।’
আরও পড়ুন - ভোট পরবর্তী হিংসার নামে ভুয়ো মামলা দায়ের, ১০ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্🐓ট
রাজ্যে শহরাঞ্চলে বিজেপির উত্থানে তৃণমূল ভয় পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন বরাহনগর বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী সজল ঘোষ। তিনি বলেন, ‘লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে শহরাঞ্চলের সচেতন মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। রাজ্যের পুরসভা ও 🐬করপোরেশনগুলি থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। অভিযুক্ত কাউন্সিলর নিজে স্বীকার করেছেন বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে প্রচুর গাড়ি ও মোটরসাইকেল ছিল। এটাই ওনার গাত্রদাহের কারণ। বিজেপির ছাতার তলায় রোজ লোক বাড়ছে এটা তৃণমূলের সহ্য হওয়ার কথা নয়। তাই বলে আমাদের ওপর হামলা হলে চুপ করে বসে থাকব না।’