জমি নেই। কিন্তু আবাস যোজনায় বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। এমন উপভোক্তাদের এবার থেকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে। তারপর বাড়ি তৈরি করার টাকা তুলে দেওয়া হবে। আর এভাবেই গরিব মানুষের মাথার ছাদ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আবাস যোজনার তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের টাকা দেওয়া হবে প্রথম কিস্তির। তবে ইতিমধ্যেই অনেকের নাম বাদ গিয়েছে বলে🍃 জেলার মানুষজন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন, চিন্তা করার দরকার নেই। যোগ্যরা অবশ্যই বাড়ির টাকা পাবেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশও দিয়েছেন। ভূম🌃িহীনদের বাড়ি তৈরির বিষয়টি নিয়ে। তবে এই নিয়ে কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এখন গ্রামবাংলার নানা প্রান্তে আবাস যোজনার বিষয়ে তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নাম উঠছে বাদ পড়া উপভোক্তাদেꦕর। নভেম্বর মাস পড়ে গিয়েছে। হাতে বেশি সময় নেই। লোকসভা নির্বাচনের সময় এই কথা দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই কথা মতো কাজ শুরু হয়েছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে অনেক আবেদনকারীদের নিজের জমি নেই। এমনকী আর্থ–সামাজিক যা অবস্থা তাঁদের সেটা অনুযায়ী মাথার উপর ছাদ পাওয়া উচিত। তাই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ নজর দিয়েছে নবান্ন। এই ধরনের মানুষজনকে জমির পাট্টা দিয়ে তাঁদের আবাস যোজনার টাকা তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নবান্ন বলে সূত্র💃ের খবর।
আরও পড়ুন: রেফারেল সিস্টেম চালু করতে প্রস্তাব চাইল নবান্ন, জেলা হাসপাতালগুলিতে বাড়তি জোর
রাজ্য নিজের কোষাগার থেকে একশো শতাংশ টাকা দিচ্ছে বাড়ি তৈরি করার জন্য। কোনও ভূমিহীন পরিবার যাতে বঞ্চিত না হন সেটা নিশ্চিত করতেই এমন উদ্যোগ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক বঞ্চনার কথা বারবার তুলেছে রাজ্য সরকার। তারপরও গরিব মানুষের জন্য নানা প্রকল্প এবং কাজ করে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১০০ দিনের কাজের ক্ষেত্রে এবং আবাস যোজনার ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই এখন আবাস যোজনার টাকা দিতে সমীক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী যাঁদের জমি নেই তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই ভূমিহীনদের তালিকা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি রাজস্ব) এবং ডিএলএলআরও’দের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। তাঁরাই জমি দেওয়ার꧙ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবেন।
একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকাও রাজ্য সরকার দিয়েছে। তাতে মানুষের সমর্থনও পেয়েছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের কাছে বারবার চিঠি লিখে, দরবার করে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীদের। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে ক্ষোভ দেখিয়ে ছিলেন বহুবার। এখন আবাস যোজনার টাকাও আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে রাজ্য সরকারের অভিযোগ। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেছেন, ‘মুখ্য🧸মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে সমস্ত পরিবার আবাসের জন্য যোগ্য অথচ ভূমিহীন বলে টাকা পাচ্ছেন না তাঁদের ক্ষেত্রে চেষ্টা করা হবে নিকট স্থানে সরকারের খাস জমি থাকলে তাঁদের যাতে জমি দেওয়া হয়।’