বর্ষা শুরু হতেই বেশ কয়েকটি জায়গায় ধস নামতে শুরু করেছে। আর তার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন গ্রামবাসীরা। বৈদ্যবাটি পুরসভা এলাকায় বৈদ্যবাটি খালের কাছে ধস নেমেছে বলে খবর। আর তার জেরে সংলগ্ন এলাౠকার একাধিক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এই ফাটল দেখে আতঙ্কে বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন একাধিক পরিবার। এই ঘটনা চাউর হতেই সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। আবার হালিশহরের বিভিন্ন রাস্তায় ধস নামছে বলে খবর। পিচের রাস্তার মাঝেই চার–পাঁচ ফুটের গর্ত দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈদ্যবাটি খালের ধার থেকে সরে গিয়েছে মাটি। তাতে ধস নেমেছে এলাকায়। আর এই ধসের জেরে বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। এই ফাটল দেখে আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৈদ্যবাটি পুরসღভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খড়পাড়া এলাকার বাসিন্দারা এখন পালাবার রাস্তা খুঁজছেন। আত💃ঙ্কে ভুগছেন একাধিক বাসিন্দারা। বৈদ্যবাটি ডানকুনি খালের পাশেই আছে প্রায় ২৫টি বাড়ি। তার মধ্যে বেশিরভাগ বাড়ির দেওয়ালে ধরেছে ফাটল। তাহলে কি বাড়িগুলি ভেঙে পড়বে? আতঙ্কে এমনই প্রশ্ন বাসিন্দাদের।
কেন এমন ঘটনা ঘটেছে? অন্যদিকে কিছুদিন আগে এই খাল সংস্কার করা হয়েছিল। তার পর থেকেই মাটি সরে যেতে শুরু করে। আর ধসের সৃষ্টি হয়। এমনকী সংলগ্ন বাড়িগুলির দেওয়ালে ফাটল দেখা দিতে শুরু করে। ফলে আতঙ্কে বাড়ি ছাড়তে 🦄শুরু করে বেশিরভাগ বাসিন্দারা। এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আতঙ্কিত বাসিন্দারা পুরসভার দরজায় কড়া নাড়েন। আর এখানে এসডিও বা মহকুমাশাসকের দফতর থেকে এক্সিকিউটিভ অফিসাররা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, খাল সংস্কারের পর থেকেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। মাটি সরে গিয়ে বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়িগুলি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের জ📖য়ী পঞ্চায়েত সদস্ꦍযকে গুলি করে কুপিয়ে খুন, প্রতিবেশীও গুলিবিদ্ধ মগরাহাটে
ঠিক কী বলছে পুরসভা? এই ধস, ফাটল নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা বৈদ্যবাটি পুরসভায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। এই বিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বর্ষার সময় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের খালের পাড়ে যে বাড়িগুলি রয়েছে সেগুলিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই আতঙ্কে অনেকে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, এক্সিকিউটিভ ইরিগেশন এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারিং ইরিগেশন দফতরকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।’ আবার হালিশহর পুরসভা এলাকার রাস্তায় ধস নেমেছে। তা সারানোও হয়েছে। কিন্তু কেন এতবার ধস নামছে? তার খোঁজ করতে পুরসভা অনুরোধ করেছে কেএমডিএ’র কাছে। এবার তারা অনুসন্ধান শুরু করল। হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই বিটুমিনের রাস্তাꦆর মাঝখানে পাঁচ–ছয় ফুটের গর্ত হয়ে যাচ্ছে। কেএমডি–এর ইঞ্জিনিয়াররা সরেজামিনে তদন্ত শুরু করেছে।’