নিউটাউনের ইকোপার্কে সৌর গম্বুজ গড়ে উঠেছে। সেটা অনেকেই দেখেছেন। আর এভাবেই সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে কেমন করে আলো, পাখা–সহ অন্যান্য বিষয়গুলি চলে সেসব ওখানে রয়েছে। এবার জলাশয়ের উপর ভাসমান সৌর প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চলেছে বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। তার মধ্যে দু’টি অশোধিত (১ ও ২) পুকুরে ওই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা দেখতে ভিড় বাড়াচ্ছেন মান⛎ুষজন। সৌর প্যানেল বসিয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে তার ক্ষমতা হবে ১০ মেগাওয়াট। আর এবার বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নীলনির্জন জলাধারে আরও বড় আকারে হতে চলেছে ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ𒁏 কেন্দ্র। তা গড়ে তোলার ভাবনা এখন শুরু হয়েছে।
এই ভাসমান সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য পূর্ণাঙ্গ ডিপিআর তৈরির কাজ চলছে। তার সঙ্গে জলাশয় এবং সংলগ্ন এলাকায় সমীক্ষার কাজও করা হচ্ছে। তারই অন্যতম বিষয় হল, জলাশয়ের থার্মো ডায়ন༺ামিক সার্ভে। গত রবিবার ওই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। আর সেটা করছে মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থার হাইড্রো ইঞ্জিনিয়াররা। এটা বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে একটা দিগন্ত খুলে যাবে। আর এই বিষয়ে বক্রেশ্বের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রদীপ্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘২০০ মেগাওয়াটের বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। গ্রিন এনার্জি স্টোরের জন্য একটি সাবস্টেশন হ🥃বে। তারপর তা গ্রিডে আসবে। এখন ডিটেল প্রোজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করতে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের হয়ে সমীক্ষার কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় শ্বাসরোধ করে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ, জোড়াসাঁকোয় গ্রেফতার যুবক
হাইড্রো ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, নীলনির্জন জলাধারের ২৫ মিটার গভীরে একটি যন্ত্র বসানো হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার জন্য। যার মাধ্যমে জলাশয় বিষয়ক আটটি তথ্য মিলবে। সেই তথ্য পেলে তারপর তা বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট তৈরি করবেন একজন জিওলজিস্ট। সেটা হওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। একদিকে দূষণ কমানো অপরদিকে বিদ্যুতের খরচ কমানোর জন্যই এমন উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার চাইছে এভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে দূষণের মাত্রা কমে যাবে। আবার মানুষের জীবনে বিদ্যুতের জন্য বাড়তি খরচ কমবে। এখন সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সৌরবিদ্যুৎ। জলশয়ে ভাসমান সো꧅লার প্যানেল বসিয়ে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে ঋণ দেয় এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট।