শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাওয়ায় বলাগড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের ফল ভালো হবে। এমনই দাবি করলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নিজে বুথ দখল করে ভোট করিয়েছিলেন শান্তনু। তার পরই তৃণমূলের জনপ্রিয়তা কমে যায় এলাকায়।শান্তনু গ্রেফতার হতেই বলাগড়ে মুখ খুলতে শুরু করেছে মানুষজন। মুখ খুলছেন তৃণমূল নেতারাও। বলাগড়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, শান্তনুর দাপটে এখানে রাজনীতি করতে পারতাম না। টাকা আর গায়ের জোরে সর্বত্র ও অধিপত্য কায়েম করেছিল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথমে নিজের প্রভাব খাটিয়ে কিছু অপদার্থ লোককে ও শ্রীপুর – বলাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী করে। তার পর তাদের জেতাতে নিজে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বুথ দখল করেছিল ও।তিনি বলেন, যে পঞ্চায়েতে তৃণমূল কোনও দিন হারেনি, ওই ঘটনার পর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী পিছিয়ে পড়েন। কিন্তু খুন হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেকথা এতদিন কাউকে বলতে পারিনি।নবীনবাবু বলেন, ওর উত্থান তো আমাদের চোখের সামনে। মোবাইলের দোকানে কাজ করত। ওর বাবার চাকরিটা পেল। তার পর থেকে ওর জীবনযাত্রা বদলাতে থাকল। আমরা পুরনো তৃণমূল কর্মীরা এসব মেনে নিতে পারিনি। ও গ্রেফতার হওয়ায় বলাগড়ে তৃণমূলের ফল ভালো হবে।শুধু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নয়, গঙ্গা, দামোদরের মাটি ও বালির কারবারেও যুক্ত ছিলেন শান্তনু। অভিযোগ, নদীখাত থেকে মাটি পাচার করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করেছেন যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি। এমনকী শান্তনুর যুব তৃণমূলের দাপটে বলাগড়ে তৃণমূলের অস্তিত্ব মুছে গিয়েছিল বলে দাবি অনেকের।