করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলত♐ে হবে চিকিৎসক-রোগী উভয়কেই।
চিকিৎসা পরিভাষায় এই থেরাপির নাম ‘কোভিড ১৯ কনভালেসেন্ট প্লাজমা ট্রান্সফিউশন’ বা (সিসিপি)🤪। তবে এই পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের। কীভাবে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, সেই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
কী রয়েছে এই গাইডলাইনে?
১) এতে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে যে, শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ার ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে যদি প্রয়োজন পড়ে, তবেই এই সিসিপি পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। নাহলে নয়। তবে কখনই তা�� যেন ১০ দিন অতিক্রম না করে। কারণ নিয়ম না মানলে রোগীর বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা ꧒দিতে পারে। তাছাড়াও এই পদ্ধতির আগে রোগীর শারীরিক ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দিক বিবেচনা করতে হবে চিকিৎসকদের।
২) প্রথমত তাঁদের দেখতে হবে রোগীরা যাতে ধূমপানে আসক্ত না হন। বা কোনও রোগীর বয়স যদি ৬৫ বছরের উপর হয়, তাহলে এই পদ্ধতি ব্যব⛦হার করা যাবে না। কিংবা কোনও রোগীর স্থূলতার স🧜মস্যা থাকে, সেক্ষেত্রেও ঝুঁকি থেকে যাবে। ফলে, এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করে যদি চিকিৎসকরা সন্তুষ্ট হন, তবেই চিকিৎসা চালানো যাবে নচেৎ নয়।
৩) চিকিৎসকদের মতে, রোগীর শারীরিক জটিলতা যাতে না বাড়ে কিংবা তাঁকে ভেন্টিলেশনে দিতে না হয়, সেক্ষেত্রে এই প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করা ♋হয়। বিশেষ করে যে সমস্ত রোগীদের নি🅘ম্ন বা উচ্চপ্রবাহে অক্সিজেন থেরাপি চলছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪) আবার প🌳্লাজমা পদ্ধতির জন্য মূলত রোগীর রক্তে এবিও গ্রুপের সামঞ্জস্যতা রয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। এই রক্ত পরীক্ষা রোগীর রক্তের ধরন নির্ধারণ করার জন্য করা হয়। এতে দেখা হয় রোগীর রক্তের লোহিত কোষগুলিতে অ্যান্টিজেন রয়েছে কিনা বা চারটি প্রধান রক্তের গ্রুপ এ, বি, ও এবং এবি-র সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে কি না।
৫) অন🀅্যদিকে, ট্রান্সফিউশন বা প্লাজমা শরীরে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রোগীর সমস্ত শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তবেই তা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, এই চিকিৎসা ব্যবহারের সময় পদ্ধতিগত ভুলত্রুটি হলে, রোগীর ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত হয়ে যেতে পারে কিংবা অ্যালার্জিগত প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নির্দেশিকায় আরও বলে হয়েছে, সিসিপি—র ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তবেই তা এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হবে। অভিযোগ উঠেছে, করোনা রোগীর ক্ষেত্রে অনেক সময়েই এই সব নিয়ম যথাযথভাবে পালন করা হয় না। সেক্ষেত্রে অহেতুক শারীরিক জটিলতা ত✨ৈরি হয়। অনাবশ্যক সেই জটিলতা এড়াতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর।