গত বুধবার সন্ধ্যায় খুন হয়েছিলেন বীরভূমের পারুইয়ের বাতিকার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর রক্তাক্ত দেহ। সেই ঘটনার চারদিনের মাথায় একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শ্রীদাস হাঁসদা। তিনি উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেরই স্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী। এখন ওই মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী খুনের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। একদিকে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি, অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে উস্কানি ছড়ানোর অভিযোগ করছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, গতকাল মৃতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপির ৬ জন বিধায়ক। এই ঘটনায় রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। রাজ্যে একের পর এক যেভাবে খুনের ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে তিনি পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করছেন। তিনি বলেন, ‘দেখতেই পাচ্ছেন কি পরিস্থিতি হচ্ছে রাজ্যে! একের পর এক খুন হচ্ছে আর পুলিশ কিছুই করছে না। আমরা তাদের পরিবারের পাশে আছি।’ এনিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ইলামবাজারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুর রহমানের বক্তব্য, ‘বিজেপি উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে। তারা নাটক করছে।’উল্লেখ্য, উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করতেন ওই মহিলা। সন্ধে হয়ে যাওয়ার পরেও ঘরে না ফেরায় তার খোঁজে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান তার স্বামী। সেখানে গিয়ে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে ওই মহিলা এবং তার মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। এই ঘটনায় মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানানো হয়। যদিও কী কারণে এই খুন তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।