পাণ্ডবেশ্বরে ভোটের ফল পুনর্গণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপির প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মামলাটি তিনি করেছিলেন ২৯ জুন। তবে নিয়ম বলছে, ভোটের ফলাফল বেরোনোর ৪৫ দিনের মধ্যে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করা যায়। সেই সময় পার করে পিটিশন দাখিল করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পর দাখিল করা সেই আবেদনের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতে মামলা গৃহীত হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও বুধবার বিচারপতি রবি কিষান কাপুরের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বিচারপতি জানান, তিনি মামলাটি শুনবেন। তার আগে সব পক্ষকে নোটিস দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ৯ অগাস্ট মামলাটির শুনানি হবে।জিতেন্দ্র তিওয়ারির দাবি, ভোটের গণনায় কারচুপি হয়েছে। কোথায় কী কলকাঠি নাড়া হয়েছে সেই তথ্য তাঁদের কাছে আছে। সেই তথ্য এবার হাইকোর্টের সামনে রাখবেন তাঁরা। উব্বেখ্য, বিধানসভা ভোটের আগে আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কাছে মাত্র ৩ হাজার ৮০৩ ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ৭৩ হাজার ৯২২টি ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপির প্রার্থী জিতেন্দ্র তিওয়ারি পেয়েছিলেন ৭০ হাজার ১১৯টি ভোট। এই ফলাফলকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করেছেন তিনি।প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ময়না বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সংগ্রাম দোলুই, গোঘাট বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মানস মজুমদার, বনগাঁ দক্ষিণের প্রার্থী আলোরানী সরকার ছাড়াও বলরামপুর কেন্দ্রের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত নিজেদের কেন্দ্রের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এদিকে রাজ্য বিজেপির তরফে প্রথম ইলেকশন পিটিশন করেছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সেই মামলাটিই আজ গ্রহণ করল বিচারপতি রবি কিষান কাপুরের সিঙ্গেল বেঞ্চ।