৬টি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন ছিল এবার। তার মধ্য়ে একমাত্র মাদারিহাট নিয়ে কিছুটা হলেও ক্ষীণ আশা ছিল গেরুয়া শিবিরের। এর আগে কোনওদিন মাদারিহাটে ঘাসফুল ফোটেনি। কিন্তু এবার একেবারে ফল হল উলটো। মাদারিহাটে ৩০ হাজার ৩০৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্ꦡরার্থী জয়প্রকাশ টোপ্পো।
এই মাদারিহাট বরাবরই বর্তমান বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার খাসতালুক বলেই 🙈পরিচিত। সেই শক্তির উপর ভর করেই ভোটে নেমেছিল বিজেপি। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে এল, ততই দেখা গেল বেসুরো গাইছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরাসরি মুখ খুলছেন তিনি। এর জেরে টেনশন ক্রমশ বাড়তে থাকে বিজেপির অন্দরে। তবে কি তলায় তলায় অন্য অঙ্ক কষে ফেলেছিল তৃণমূল?
তবে ভোটের♔ ফলাফল বের হতেই দেখা গেল অঙ্ক মিলিয়ে ফেলেছে ঘাসফুল। ভোটের ফলাফল💃 বের হতেই জন বার্লা বলেন, কলকাতা থেকে দল চালালে এমনটা তো হবেই। চা বাগানের শ্রমিককে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। সেকারণেই এমন ফলাফল হল।
কতটা ফ্যাক্টর হলেন জন বার্লা?
বিজেপি নেত্রী অগ্নিমি🦂ত্রা পাল বলেন, সামান্য কিছুটা হলেও হতে পারে। তবে মানুষের একটা মাইন্ডসেট হয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সালের আগে তৃণমূলকে সরানো যাবে না এমন একটা মনোভাব হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া সর্বত্র সন্ত্রাস করেছে তৃণমূল।
বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা বলেন, অর্থবল, পুলিশবল সবই ছিল ওদের দিকে। তার মধ্য়েও আমরা ভালো লড়াই দিয়েছি। 🐲;
বিগত দিনে এখানে ভোটের ফলাফল কেমন হত?
২০১১ সালের বিধানসভা ভোট। মাদারিহাটে ২৯ হাজারে হেরে যায় তৃণমূল। বিগত লোকসভা ভোটে বিজেপি মাদারিহাটে মাত্র ১১ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। অর্থাৎ ভোটের ব্যবধান ক্রমশ কমিয়ে ফেলছিল তৃণমূল🦩।
একাধিক ফ্য়াক্টর কাজ করেছে তৃণমূলের পক্ষে।
১) চা শ্রমিকদের মধ্যে গত কয়েক বছরে ভিত্তি ক্রমশ পাকা করꦯেছে তৃণমূল। চা সুন্দরী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রেশন ব্যবস্থা, স্কুল, রাস্তা, পানীয় জল সহ সরকারি নানা প্রকল্পের প্রত্যক্ষ সুবিধা পেয়েছে চা শ্রমিকরা। তার প্রতিদান দিয়েছেন তাঁরা।
২) ভোট পর্বেই দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন জন বার্লা। গোপন অঙ্ক কি কষা হয়েছিল সেখানেই?
৩) আদিবাসীদের মধ্যে জনের প্রভা🦩ব এখনও রয়েছে। পাশাপাশি খ্রীষ্টান ভোটেও প🦩্রভাব ফেলেছেন জন বার্লা। এমনটাই মনে করছেন অনেকে।
৪) বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা বার বার সামনে এসেছে। গোটা প্রচারপর্বে কেমন যেন হাল ছাড়াඣ𒊎 মনোভাব ছিল বিজেপির। ভোটের দিনও তার প্রতিফলন ছিল পুরোদমে।
৫) বিজেপির একাধিক নেতা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিলেন। সেই তুলনায় ⛄🎐তৃণমূল একেবারে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ঘাসফুল শিবির। তারই ফল মিলল হাতেনাতে।