নাগাড়ে বৃষ্টি এবং ডিভিসি’র জল ছাড়ার জেরে এখন বানভাসী পরিস্থিতি ত🧸ৈরি হয়েছে একাধিক জেলায়। এবার দামোদর নদীর জলের তলায চলে গেল বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। এই ঘটনায় জীবন–জীবিকা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। গ্রামের মানুষজন কেমন করে সবটা সামলাবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। আর তখনই প♍াশে এসে দাঁড়ালেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তবে বিজেপি বিধায়কের এই কাজকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফলে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
এদিকে ছুটির দিনে (গান্ধী জয়ন্তী) জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাতে দেখা 🐬যাচ্ছে রাজ্যের সাতটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসক এবং পুলিশ কর্তাদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। আবার আজ, মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে নিজের একমাসের বেতন দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর তারপরই বিজেপি বিধায়কের জলে নেমে নিজে নৌকো চালিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অন্যদিকে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরই বাড়তে শুরু করেছে দামোদর নদীর জল। আর তাতে ভাসছে গোটা সোনামুখী গ্রাম। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোনামুখী ব্লকের সমিতি–মানা গ্রামে বিঘার পর বিঘা সবজি ও ধান জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এই খবর পেয়ে এলাকায় আসেন সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি এখানের মানুষজনকে জানান, গোটা বিষয়টি দেখে পঞ্চায়েতে রিপোর্ট দেবেন। তারপরই নিজে নৌকো চালিয়ে দামোদর নদীর বন্যা পরিস্থ💟িতি খতিয়ে দেখেন। আর সোনামুখীর বিধায়কের এই কাজকে এলাকায় রাজনীতি করার সামিল বলে দাবি🧔 করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: কবে হবে ছাত্র সংসদ ন♑ির্বাচন? বিস্তারিত কলকাতা হাইকোর্টে জানিয়ে দিল রাজ্য
ঠিক কী বলছেন বিজেপি বিধায়ক? সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদ তীরবর্তী সমিতি –মানা, কেনেটিমানা এই গ্রামগুলিতে মানুষজন বেশিরভাগই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। সেখানে বিঘার পর বিঘা সবজি এবং ধান চাষ হয়। আজ সবই জলের তলায় চলে গিয়েছে। এই বিষয়ে এখানের বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্যান্য গ্রামগুলিতে এখনও জল না ঢুকলেও সমিতি–মানা গ্রামে বিঘার পর বিঘা সবজি এবং ধানের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এখানে নানারকম সবজি চাষ হয়। সেই ফসলের ক্ষতি হয়েছে। জলের পরিমাণ বাড়ছে বলে আতঙ্কে এলাকার মানুষ। ꧃কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের বছরে তিনবার সাহায্য করেন। রাজ্য সরকারকেও বলব সাহায্য করতে।’ তবে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মন্ডল বলেন, ‘বিধায়কের এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করছি। কারণ বিধায়ক এলাকা পরিদর্শনের নাম করে রাজনীতি করতে এসেছিল। আর মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।’