শিলিগুড়ি বিজেপিতে ব্যাপক ডামাডোল শুরু হয়েছে। আগেই দলের পদ ছেড়ে ছিলেন ৩০ জন নেতা। তাতেই শোরগোল পড়েছিল। এবার সেই তালিকায় শিলিগুড়ি বিজেপির জেলা সম্পা🍸দক তথা বিজেপি বিধায়ক দুর্গা মুর্মুও যুক্ত হলেন। তিনিও আজ, শুক্রবার দলীয় পদ ছেড়ে দিলেন। লোকসভা নির্বাচন এবং ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ল বঙ্গ–বিজেপিতে। মাটিগাড়া–নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দ বর্মণকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে অরুণ মণ্ডলকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তারপরই গণবিদ্রোহ শুরু হয় দলে। তখন একসঙ্গে ৩০ বিজেপি নেতা ও একাধিক মণ্ডল সভাপতি পদত্যাগ করেন। এবার দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন খোদ বিধায়ক।
এদিকে আচমকা এমন ঘটনা ঘটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। তাই পরিস্থিতি কমব্যাট করতে রণকৌশল ঠিক করতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এমন আবহে দলে ভাঙন ধরেছে যা চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। কিছুদিন আগেই বিজেপির দুই বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং আনন্দ বর্মণের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছিল। শঙ্কর ঘোষ রাজ্য সম্পাদক হয়ে যাওয়ায় জেলা সভাপতি ও বিধায়ক আনন্দ বর্মণের সঙ্গে তাঁর ত😼িক্ততা বাড়ে। তিক্ততা বাড়ে সাংসদ রাজু বিস্তার সঙ্গেও। তার মধ্যে আনন্দ বর্মণকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয় রাজু ও শঙ্করের অনুগামী বলে পরিচিত অরুণ মণ্ডলকে।
কেন ঠিক ভাঙন ধরছে? অরুণ দায়িত্ব পেয়েই অযোগ্যদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জেরেই চরমে ওঠে কোন্দল। আর একে একে পদ ছাড়েন দলের ৩০ নেতা। তবে পদ ছেড়েও দলে আছেন কেউ কেউ। এই পদত্যাগের জেরে এবার চিন্তায় পড়ে আগামী ২৮ অগস্ট শিলিগুড়ি যাবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি কথা বলবেন শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে। যাতে সমস্যা মিটে যায়। কিন্তু ✱খোদ বিধায়ক পদত্যাগ 🐈করার পর কপালে ভাঁজ পড়েছে সুকান্তদের।
আরও পড়ুন: কাপলিং ছিঁড়ে গেল ভিস্তাডমের, শিলিগুড়িতে ইঞ্জিꦗন ꦗএগিয়ে যেতেই চিৎকার যাত্রীদের
আর কী জানা যাচ্ছে? লোকসভা নির্বাচনের আগে এই পদত্যাগকে সহজꦫভাবে দেখছে দেখছেন না দলের অনেকেই। দলের অন্দরে এমন বিরোধ জারি থাকলে আগামীদিনের দলের কাছে তা বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কতটা সক্রিয় থাকবেন এই সদস্যরা এবং বিধায়ক তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই রণকৌশল ঠিক করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর🍌বঙ্গের আসন নিজেদের দখলে রেখেছিল বিজেপি। এবার তা রাখতে পারবে তো? উঠছে প্রশ্ন। কারণ এবার ভাঙন অব্যাহত বিজেপিতে।