রবিবার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে এসে উত্তরীয় পরেছিলেন তাঁর হাত থেকে। তবে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেননি। বরং বলেছিলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। আর এই সৌজন্য সাক্ষাতের পরই তাঁকে নয়া পদে বসাল স্বাস্থ্য ভবন। হ্যাঁ, তিনি আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। অভিষেকই সুমনের গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিয়েছিলেন। আর এই নিয়ে বিজেপি কোনও মন্তব🗹্য না করলেও বিষয়টি হজম করতে পারেনি।
কী পদ পেলেন সুমন? বিজেপির টিকিটে জিতলেও এখন তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছেন। সুমন কাঞ্জিলালকে তাই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান করা হয়েছে।🌳 এই পদে আগে যিনি ছিলেন তিনি এখন সেখান থেকে সরে গিয়েছেন। দলের সঙ্গে দূরত্বও বেড়েছে। তাই ফাঁকা আসনে সুমনকে বসিয়ে বার্তাও দেওয়া হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি বিধায়কের দলত্যাগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আগের ইতিহাস ঠিক কী? আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রো🦹গী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ♋একুশের নির্বাচনে এই সৌরভকে হারিয়েই জিতেছিলেন সুমন কাঞ্জিলাল। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সৌরভের দূরত্ব বাড়াছিল। এবার সেই সুযোগটাই কাজে লাগানো হল। সুমনকে এই পদে বসানোর সিদ্ধান্তকে অনেকেই সৌরভের ডানা ছাঁটা হিসেবে দেখছেন।
সুমনের বক্তব্য ঠিক কী ছিল? স🎃ুমন কাঞ্জিলাল ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে বেরিয়ে সাংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘মানুষের জন♐্য কাজ করতে চাই। কিন্তু পারছিলাম না।’ আর এবার তাঁকেই꧋ জনকল্যাণের দায়িত্ব দিল স্বাস্থ্য ভবন। এই ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে গুরুত্ব রয়েছে ভীষণভাবে। এখন এই নয়া পদ দিয়ে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল কংগ্রেস জেলার সংগঠনকে সুমনের গুরুত্ব বুঝিয়ে দ🙈িল। ফলে আর কাজ করতে অসুবিধা হবে না।
উল্লেখ্য, সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপি ছেড়ে দেওয়ায় রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তড়িঘড়ি বাংলা সফরে আসছেন। ১২ ফ✨েব্রুয়ারি তিনি বাংলায় আসছেন। তবে বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবে বিজেপি পর𝓀িষদীয় দল।
এই খবরটি 🔯আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup