গত শুক্রবার ১৩ রাজ্যের ৮৩৬ জন বিধায়ককে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। তবে সেই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বাংলার চার বিধায়ক। জানা গিয়েছে, নড্ডার বৈঠকে যোগ দেননি দার্জিলিঙের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, ফাঁসিদেওয়ার বিধ😼ায়ক দুর্গা মুর্মু এবং কাঁথি উত্তরের বিধায়ক সুমিতা সিনহা। কেন নড্ডার বৈঠকে অনুপস্থিত? এই চার বিধায়কের কাছে সেই বিষয়ে কারণ জানতে চাওয়া হল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে।
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট চার বিধায়কের সঙ্গে কথা বলেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা। মনোজকে এই চার বিধায়ক জানিয়েছেন যে এলাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকায় এবং নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় তাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। উল্লেখ্য, এই চার বিধায়ক বাদে বিজেপির বিধায়করা বিধানসভায় বিরোধী দলনেতার ঘর থেকে ভার্চুয়ালি নড্ডার বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, আগামী ৯ থেকে ১৫ অগস্ট দেশ জুড়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বিজেপি। এই আবহে এই কর্মসূচি পালন এবং ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ নিয়ে প্রচারের বিষয়ে শুক্রবার কথা বলেছিলেন নড🐷্ডা।
আরও পড়ুন: মোদীর বৈঠকে ♉বলার সুযোগ পেলেন না মমতা, ক্ষোভে ফুঁসছে তৃণমূল
এদিকে বৈঠক শেষে বিধায়কদের সমস্যার কথা জানতে চেয়েছিলেন নড্ডা। তবে বাংলার বিধায়করা কেউই কিছু বলেননি বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত। উল্লেখ্য, নড্ডার এই বৈঠকের কিছুক্ষণ পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ💟্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে ‘অসন্তুষ্ট’ বঙ্গ বিজেপি বিধায়করা। তবে বৈঠক শেষে তা নিয়ে কেউ কিছু বলেননি বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: পাঁচটা অ♔ভিধান সঙ্গে নিয়ে স্কুলে যেতেন জগদীপ ধনখড়, ফুটবলেও দক্ষ
এই আবহে নড্ডার বৈঠকে বিজেপির চার বিধায়কের অনুপস্থিতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রসঙ্গত, মুকুটমণি অধিকারী এর আগে রাষ𒅌্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বৈঠকেও আসেননি। যদিও বঙ্গ বিজেপির তরফে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও ধরনের অন্তর্দ্বন্দ্বের তত্ত্ব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। দলের তরফে দাবি করা হয়েছে, নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণেই সংশ্লিষ্ট বিধায়করা নড্ডার বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।