সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের ২২ তারিখ চারটি পুরসভার নির্বাচন হবে রাজ্যে। সুতরাং জোর প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিড–বিধি মেনে এই প্রচার করতে বলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এমনকী প্রচার–পর্ব বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই। কিন্তু আজ, মঙ্গলবার আসানসোলে পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে তিনি কোভিড–বিধি না মেনে জমায়েত করতেই পুলিশ বাধা দেয়। তখন ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়।ঠিক কী ঘটেছে আসানসোলে? এদিন দিলীপ ঘোষ প্রচারে বেরিয়েছিলেন। আসানসোলে পুরসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে ভিড় তৈরি হয়েছিল। তাই মিছিল বেশিদূর এগোতে দেয়নি পুলিশ। তখন বিজেপি কর্মীরা পুলিশের উপর চড়াও হন। এমনকী মারমুখী হয়ে উঠলে পুলিশ কড়া হাতে তা দমন করেন। তাতে উত্তেজনা আরও দেখা দেয়। দিলীপ ঘোষ মিছিল এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। তাতে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে। কারণ বিজেপি কর্মীরা গায়ের জোর দেখাতে থাকে। পুলিশকে ধাক্কা দিতে শুরু করে। পুলিশও আটকাতে শুরু করে। অবশেষে রাস্তায় বসে পড়েন দিলীপ ঘোষ। আবার আসানসোলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর ক্ষোভের মুখে পড়েন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রণবীর সিং জিতুওই ওয়ার্ডের বিদায়ী প্রার্থীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষের কাছে। এখানের বিদায়ী বিজেপি কাউন্সিলর তথা এবারের প্রার্থী ভৃগু ঠাকুর এলাকার উন্নয়নের জন্য কোনও কাজই করেননি। দুর্নীতি করেছেন বলে নালিশ করেন।তবে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে আসানসোলের ৬৬ নম্বর ওয়ার্ডে। দিলীপ ঘোষ পুলিশকে বলেন, ‘গ্রামের লোক আমার সঙ্গে এলে কি করার আছে। আমরা কোভিড–বিধি লঙ্ঘন করিনি। আমাদের আটকাতে পারেন না। আমার সঙ্গে আছে নিরাপত্তারক্ষী। আমি একজন সাংসদ। পথ আটকালে এখানে বসে পড়ব।’ এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আসানসোলে।